ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিতঃ 4:56 pm | February 26, 2022

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে দলগত ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে আটক ছয় জনই ধর্ষণে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাকিব মিয়া ওরফে ইমন (২২), পিয়াস ফকির (২৬), প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), মো. নাহিদ রায়হান (২৪), মো. হেলাল (২৪) ও তূর্য মোহন্ত (২৬)।

র‌্যাব জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আগে থেকেই ফলো করছিল ৫ জন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে নিজ মেসে যাওয়ার সময় গ্রেফতাররা মেয়েটিকে ইভটিজিং করে। এ সময় ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুর সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ হয়।

একপর্যায়ে বখাটেরা ভিকটিমের বন্ধুকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায়। এরপর তারা পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ ও তার বন্ধুকে ব্যাপক মারধর করে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে রাকিবের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি অপরাধ চক্রের সদস্য গ্রেফতারকৃতরা। তারা সবাই গোপালগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। প্রায় ৮/১০ বছর ধরে নবীনবাগের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, আড্ডা, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত। এছাড়া তারা চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধেও জড়িত ছিল।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে স্কুল/কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। তাদের নামে থানায় মামলাও রয়েছে।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃত রাকিব মিয়া ওরফে ইমন স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম সম্পন্ন করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রিসেপশনিস্ট হিসেবে চাকরি করতেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে।

আর পিয়াস ফকির গোপালঞ্জের একটি পাওয়ার হাউজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে। প্রদীপ বিশ্বাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপাড়ার পর গোপালগঞ্জে হোম সার্ভিসের মাধ্যমে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করতেন।

নাহিদ রায়হান স্থানীয় একটি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। হেলাল স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন।

তূর্য মোহন্ত খুলনার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার জন্য বিদেশ যান। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে দেশে চলে আসেন এবং গোপালগঞ্জে সদরে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে একটি মারামারির মামলা রয়েছে।

কালের আলো/এসবি/এমএম