তরুণীকে চার দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়

প্রকাশিতঃ 4:38 pm | February 17, 2022

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে মূল অভিযুক্ত মনির হোসেন শুভ ও তার সহযোগী আলামিন নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ৫ দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এ ঘটনায় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে (২২) আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনা প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-৩ এর একটি দল গতরাতে রাজধানীর চকবাজার থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে আটক করে।

এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টায় ওই তরুণী প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় লালবাগ কেল্লা মোড়ে শুভ ও আল-আমিন ওই তরুণীর মুখে রুমাল চেপে তাকে রিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চারদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। পরে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে এক পথচারী ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শুভ র‍্যাবকে জানিয়েছে, তিনি (শুভ) বর্তমানে একটি কলেজ থেকে বিবিএ করছেন। মাসখানেক আগে লালবাগ এলাকায় এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর তারা পাঁচ-সাতবার দেখাও করেছে।

তবে তুলে নিয়ে আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে শুভ র‍্যাবকে কোনো তথ্য দেয়নি বলে জানান খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুণী চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার বিষয়ে পরে তদন্ত কর্মকর্তা বিস্তারিত জানাবেন। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলমান।