গোপনে নারীকর্মীদের ভিডিও করার স্বীকারোক্তি আড়ংয়ের সজীবের

প্রকাশিতঃ 6:33 pm | January 28, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আড়ংয়ের বনানী শাখায় এক নারী বিক্রয়কর্মীর গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজীব (২২) আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমন চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে আসামি সজীব এ স্বীকারোক্তি দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) লিয়াকত আলী।

জিআরও বলেন, গত শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি সজীবকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও পর্নগ্রাফি আইনের মামলায় হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।

জিআরও আরো বলেন, আজ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে আসামি সজীব স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে বিচারক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবরে গোপনে এক নারীকর্মীর পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও করার অভিযোগে ডিসেম্বর মাসে সজীবকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

সজীব পুলিশের কাছে জানায়, আড়ংয়ে চাকরিরত অবস্থায় চতুর্থ তলার পোশাক পরিবর্তন কক্ষের বাইরের সানসেটে দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে নারী কর্মচারীদের অজান্তে তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার ভিডিও ধারণ করত। তার কাছ থেকে ১৩ জন নারীকর্মীর ১২০টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।

এজাহার থেকে জানা যায়, সজীব নামের ওই যুবক গত ১১ জানুয়ারি রাতে এক তরুণীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও পাঠায়। পরে ১৬ জানুয়ারি ওই তরুণী রাজধানীর বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

কালের আলো/বিআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email