তারুণ্যের আফসোস কী থেকেই যাবে!
প্রকাশিতঃ 6:01 pm | May 27, 2021

খেলার মাঠে ডেস্ক, কালের আলো:
বহু বছর ধরেই অভিজ্ঞদের সঙ্গে দলে খেলছেন তারা। বারবারই সিনিয়রদের সংস্পর্শ পেয়েও যেন তা কাজে লাগাতে পারছেন না তরুণেরা। ফলে এত বছর পরেও অভিজ্ঞ আর তারুণ্য – এর মধ্যে বড় একটা ব্যবধান যেন রয়ে-ই গেছে বাংলার ক্রিকেটে।
ক্যারিয়ারের গোধূলী বেলায় এসেও তাই অভিজ্ঞদেরই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বারবার। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও চরমভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যানরা। এই সিরিজে সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর মোসাদ্দেক ছিলেন তামিম ইকবালের বড় অস্ত্র। কিন্তু গত দুই ম্যাচে এই অস্ত্রগুলো কোনো কাজে আসেনি। চলতি সিরিজেও গত দুই ম্যাচে হাল ধরতে হয়েছে সিনিয়রদেরই।
‘এক্সপেরিয়েন্স ম্যাটার- বলে ইংলিশে যে উক্তি রয়েছে, অমূল্য সে প্রতিভাকে কাজে লাগিয়েই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খাদের কিনারা থাকা দলকে বাঁচিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
২২৬ টি ওয়ানডে খেলা মুশি বাংলার ক্রিকেটে যে অক্সিজেন; বারবার ডুবন্ত তরীকে তীরে উঠিয়ে তা-ই যেন প্রমাণ করেছেন তিনি।
এভাবেই অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, তামিম। এই চার অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মিলে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ৮৪৮ টি; যা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনাও বটে।
কিন্তু সময় বহমান। এই পরিক্রমায় একদিন ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন অভিজ্ঞরা। ছেড়ে যেতে হয় সব। যেমনটা ছেড়েছেন ওয়ান ডে ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক মাশরাফি।
এখন প্রশ্ন বাকিরাও যদি মাশরাফির পথ ধরেন, তখন কী হবে বাংলার ক্রিকেটের! ভাবতেই যেন গা শিউরে ওঠে। কেননা এত বছরের প্রচেষ্টায়ও যে তৈরি হয়নি ওদের বিকল্প! ভাবনার বিষয় এটিই।
সবশেষ ওয়ানডের কথাই যদি বলা যায়, বিপদে কীভাবে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় তা একটা ইনিংসেই বেশ কার্যকরভাবেই দেখিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ওই দিন সব তরুণ খেলোয়াড়ই অপর প্রান্তে থেকে মুশির সঙ্গে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু কী শিখলেন তারা! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ২ ওয়ানডেতে তিন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, তামিমের সঙ্গে ছয় তারুণ্যের স্কোর বোর্ডই বলে দেবে এর উত্তর।
তিন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের যেখানে ৩৬৯ রান, সেখানে ছয়জনের মাত্র ৭৬। ব্যাটিং এভারেজে ওরা ৬ জন মিলেও এক মুশফিকের ধারের কাছে নেই।
পঞ্চপাণ্ডবের একজন তো আগে ঝরে গেলো, সেক্ষেত্রে রইলো বাকি চার। একদিন অতীতের স্রোতে তারাও বিদায় নিলে কিছু না শিখতে পারার তারুণ্যের আফসোস কী থেকেই যাবে-তা সময়ই বলে দেবে।
কালের আলো/ডিএসবি/এমএম