ময়মনসিংহে অপহরণের আড়াই মাস পর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেহেদীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিতঃ 10:00 am | May 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় অপহরণের দুই মাস ১৭ দিন পর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বাবু’র গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজার থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুষার ও তার সহযোগী আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ মার্চ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বাবু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এরপর আমাদের কাছে তথ্য আসে, তুষার ও আলামিন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তুষারের বড় ভাইয়ের গদি ঘরের পেছনের ঘরে পুঁতে রেখেছে। অথচ হত্যাকাণ্ডের পর তুষার পুলিশকে ব্যাপকভাবে মিস গাইড করে। এ সময় সে নিজেকে আড়াল করতে কিছু কৌশলও গ্রহণ করে। এর মধ্যে মেহেদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অন্য একটি সিম ঢুকিয়ে ভয়েস নকল করে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির নাটক সাজায়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিস গাইড করে ঢাকা, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে যায়। সর্বশেষ আমাদের কাছে তথ্য আসে তুষারই হত্যাকারী। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে এ কথা স্বীকার করে এবং আলামিন নামে আরেকজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দেয়। পরবর্তীতে আলামিনকে গ্রেফতারের পর সেও স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো জায়গার মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

যে কারণে হত্যা করা হয় মেহেদীকে:
বখাটে তুষার ও তার সহযোগী আল আমিন প্রেমঘটিত কারণে মেহেদী হাসান বাবুকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, ‘তুষার ও মেহেদীর এক মেয়ে বন্ধু রয়েছে। তুষার মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে মেহেদী তাতে বাঁধা দেয়। এর এ বাঁধা দেয়ায় কারণেই মেহেদীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।’

হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা দুই ঘাতককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ৬ মার্চ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে এসএসসি পরীক্ষার ২ দিন পর মেহেদী হাসান বাবুকে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মেহেদীর মা বাদী হয়ে তুষারকে প্রধান আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।

কালের আলো/ওএইচ

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে কালের আলো’র ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: KalerAlo/Facebook