গাজীপুরের নির্বাচন আদালতের নির্দেশ অনুসারে: সিইসি

প্রকাশিতঃ 7:09 pm | May 09, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আদালত যদি বলেন ১৫ মে ভোট নিতে হবে তখন আমাদের যেভাবেই হোক আদেশ পালন করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার আদালত নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদেশ দিলে তারিখ পরিবর্তন করতে হবে।

বুধবার সকালে গাজীপুরে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি এ সময়ে নির্বাচন নেয়া সম্ভব নয়। কারণ পুলিশ সুপার জানান, প্রায় ১০-১১হাজার পুলিশ ফোর্স বিভিন্ন জায়গা থেকে ডিপ্লয়েড করতে হবে, ৫-৬শ গাড়ি রিকুইজিশন করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে, যারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা সাড়ে আট হাজার, তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতগুলো কাজ এ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা আমি অসম্ভব মনে করি।”

গাজীপুর সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে প্রার্থী, বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের কর্মসূচী আগেই নির্ধারিত ছিল। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তিনি সে কর্মসূচী বাতিল করে দেন। তবে নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার রাতে তিনি গাজীপুরে আসেন। বুধবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস পরিদর্শন, সার্ভার স্টেশন, স্মার্ট কার্ড নিয়ে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কর্মসূচীতে অংশ নেন।

এসময় জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরসহ জেলা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোন ভুল আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি যে, সীমানা নিয়ে কোন জটিলতা আছে কি-না, কোর্টে ওই বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে কি-না। তখন তারা পরিষ্কার চিঠি দিয়েছে কোথাও কোন বিভেদ নেই, সীমানা নির্ধারণের কোন সমস্যা নেই। তখনই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি।”

এ ব্যাপারে আমাদের কোন গাফিলতি নেই দাবি করে সিইসি বলেন, “স্থানীয় সরকার বিভাগেরও কোন ভুল দেখি না। তারাতো জেনে শুনে কোর্টের আদেশ বিশ্লেষণ করে আমাদের বলেছে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোন সমস্যা নেই।”

আবার আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন আইনী জটিলতায় পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেটি নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, তাই সে নির্বাচন নিয়ে কোন জটিলতা হবে না।”

 

কালের আলো/ওএইচ