তুর্কমেনিস্তানের জালে প্রথমার্ধেই ৭ গোল বাংলাদেশের

প্রকাশিতঃ 8:41 pm | July 05, 2025

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো: 

এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্ব এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে আজ নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মাঠে নেমেছে কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলের লিড নিয়েছে আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। কক্সবাজারে ২০১০ সালে ভুটানকে হারিয়েছিল ৯-০ গোলে। সেটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ নারী দলের সবচেয়ে বড় জয়। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের সামনে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তহুরা খাতুনের কাট ব্যাকে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না রানী।

দুই মিনিট পরই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। সতীর্থের ক্রসে আফঈদার হেড গোলকিপার ফেরানোর পর, বক্সে জটলার ভেতর থেকে নিখুঁত টোকায় জালে বল জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে ডান দিক থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের ক্রস ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক, আলগা বল অনায়াসে জালে পাঠান শামসুন্নাহার জুনিয়র। একটু পরই বক্সের ওপরে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াল একটু এগিয়ে দৃষ্টিনন্দন শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন মনিকা চাকমা।

১৬ মিনিটে তহুরা কাছ থেকে তুর্কমেনিস্তানের কুরবানোভা পেরভানা বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো মনিকার কাছে বল ঠেলে দেন তিনি। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করতে কোনো ভুল করেননি মনিকা। ১৭ মিনিটে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নেওয়া ঋতুপর্ণা চাকমার শট তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষকের হাত ফসকে চলে যায় জালে। যা গোলপোস্টে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে তুর্কমেনিস্তান কোচ বরিস বোরোভিককে। আয়শাকে উঠিয়ে এলনুরা মাকসিউতোভাকে মাঠে নামান তিনি। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। ২১ মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে বাংলাদেশের ষষ্ঠ গোলটি করেন তহুরা।

১৯ মিনিটের মধ্যে ছয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। সপ্তম গোলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় ২০ মিনিটের মতো। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে মনিকা বল দেন ঋতুপর্ণার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে নিশানা খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা।

কালের আলো/এএএন