ঢাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু

প্রকাশিতঃ 12:07 pm | September 13, 2019

ঢাবি প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার(১৩ সেপ্টেম্বর)।

গত দুই বছর প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটায় এবার সর্বোচ্চ সতর্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর)বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো, কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বডি, মোবাইল টিম, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিএনসিসিসহ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

অনেকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত বছরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা প্রশ্নের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখে যাতে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল উপায়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারি, সে বিষয়টিই আমাদের কাম্য।

এ বছর ‘গ’ ইউনিটে ১২৫০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ২৯,০৫৮ জন। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে ২৩ জন প্রতিযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মোট ৫৬টি কেন্দ্রে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সিট-প্ল্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

এছাড়া এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এবার প্রথম নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। নৈর্ব্যক্তিক অংশ হবে ৭৫ নম্বর এবং লিখিতভাবে ৪৫ নম্বর। ১২০ নম্বরে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সময় পাবে দেড় ঘণ্টা আর এর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক অংশের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় পাবে ৪০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

সার্বিক ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও পরিচালনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল ধরনের অপরাধ রুখতে পুলিশ, গোয়েন্দা টিম, প্রক্টরিয়াল টিম ও বিএনসিসি কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। কোনো ধরনের ভর্তির জালিয়াত যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আমরা দেব। এবার আমরা ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি জালিয়াতির জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি।

কালের আলো/বিএ/এমএম