ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 10:18 pm | July 29, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ফিলিপাইনে প্রায় ৭৭ হাজার এবং ভিয়েতনামে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত। সে তুলনায় আমাদের দেশে মাঠে-ঘাটে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যদিও এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। সেজন্য সচেতনা তৈরিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাঠে নেমেছেন।
সোমবার(২৯ জুলাই) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম গলিতে ডিএনসিসির উদ্যোগে মশক নিধনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক ক্রাশ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্চ-এপ্রিল থেকে শহরের সব এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এডিস মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিপাইনে ৭৭ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। মালয়েশিয়াতে ৪৬ হাজার ও ভিয়েতনামে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এছাড়া থাইল্যান্ডের ২৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার।
‘সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী দুই হাজার ছয়শর মত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। মশার অস্তিত্ব যথেষ্ট কমেছে। কিন্তু এডিস মশা আরও কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। আমাদের বাড়ির ছাদ ও আঙিনা যেখানেই পানি জমে সেটা যত দ্রুত পরিষ্কার করতে পারব, সিটি করপোরেশন তত দ্রুত করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন এবং মন্ত্রণালয় মাঠে ময়দানে নেমে সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে, সতর্ক করছে। এডিস মশা কিভাবে জন্ম হয় আমরা অনেকে জানতাম না এবং আপনারাও জানতেন না। এখন জনগণকে জানাতে পারলে জনগণ সচেতন হবে। সহজে আমরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারব।
বাংলাদেশের মানুষ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি সচেতন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেকাংশে সফল হয়েও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরাসহ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা মাঠে এসেছে সচেতনতা সৃষ্টি করতে।
তিনি আরও বলেন, মশা নিধন ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন আছে। আমরা নিজেরা ওষুধ দিয়ে দেখেছি। ওষুধ ছিটানোর পরে সেখানে হয়তো কিছু মশা মরে না। কিন্তু তার মানে এটা বলতে পারব না যে ওষুধ অকার্যকর।
মশা নিধনে নতুন কোনো ওষুধ আনা হচ্ছে কি না?- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ওষুধের অনুমোদন দেবেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সেটাই আনা হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
কালের আলো/এনএল/এমএইচএ