প্রিন্স মাহমুদের নাম উচ্চারণ না করাটা দুঃখজনক
প্রকাশিতঃ 11:23 am | July 15, 2019

সিমিত রায় অন্তর ::
এটাই প্রথম না, আগেও দুবার ভুল করেছিলেন মাঈনুল আহসান নোবেল। অনুমতি ছাড়া তিনি সুরকার প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুরারোপিত গান গেয়েছেন। অনুষ্ঠান প্রচারে উচ্চারণ করেননি মূল সুরকার ও গীতিকারের নাম। বাণিজ্যিকভাবে টেলিভিশনে ব্যবহারের পর ইউটিউবেও আপলোড হয়েছে সেই গান।
নোবেলের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে নাট্য নির্মাতা সিমিত রায় অন্তর তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসটি কালের আলোর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- ‘নোবেল সারেগামাপা’তে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরের তিনটি গান গেয়েছে। ‘বাবা’, ‘মা’, ‘এত কষ্ট কেন ভালবাসায়’। আশ্চর্যজনকভাবে তিনবারের একবারও সে প্রিন্স মাহমুদের নাম উচ্চারণ করেননি। ব্যাপারটা দুঃখজনক।
নোবেলকে আমার কখনই আহামরি টাইপের গায়ক মনে হয়নি, এখনো হয় না। বরঞ্চ মনে হয়, নোবেলের কারণে তার থেকেও ভাল গাওয়া শিল্পী অবন্তী বাদ পড়েছে। বাঙালি যেভাবে নোবেলকে জয়ী বানিয়ে রেখেছে, তাতে আমার হাসি পায়। যদিও বাঙালির বিচার কখনই ভাল হয় না।
যাই হোক, যা বলছিলাম। গতকাল নোবেল প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে ‘শেষ দেখা’ এলবামের হাসানের গাওয়া “এত কষ্ট কেন ভালবাসায়” গানটি গায়, কিন্তু সে বলে এটা আর্ক ব্যান্ডের গান। নোবেলের হয়ত জানা নেই আর্ক ব্যান্ড আর হাসান এক নয়। আর অন্যের গান গাইতে হলে সেই গানের গীতিকার, সুরকার, শিল্পীর নাম মুখস্ত রাখতে হয়, গাওয়ার আগে বলতে হয়। পারলে কোন স্টুডিওতে গানটা রেকর্ড হয়েছে তাও জেনে রাখা ভাল।
প্রিন্স মাহমুদ এই বিষয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ জানিয়েছেন, গানটি আর্কের নয়, তার।
সেখানে একজন মন্তব্য করেছে- ‘আজ নোবেল সারেগামাপায় প্রিন্স মাহমুদের সুরে হাসানের এত কষ্ট কেন ভালবাসায় গেয়েছে। কিন্তু তৃতীয়বারের মতো এবারও প্রিন্স মাহমুদ নাম বলে নাই। নোবেল একটা বাজে ছেলে। অত্যন্ত ধূর্ত। সে ‘বাবা’ গান গেয়ে প্রিন্স মাহমুদ স্যারের নাম না বলে সবার তোপের মুখে পড়ে ফেসবুকে এসে কান্নাকাটি করে মাপ চাইল, প্রিন্স মাহমুদ স্যার মাপ করে দিলেন।
এরপর ‘মা’ গানে সে প্রিন্স মাহমুদ নাম বলে নাই। জেমস গুরুর নাম এমনভাবে বলে মনে হয়, জেমস তার বন্ধু। ভাই এই ছেলে অন্যের গান গেয়ে তারকা, সে এটা ভুলে গেসে। এই নোবেলের এত সাহস হয় কি করে? ওদিকে শান্তনু মৈত্রকে ‘স্যার’, ‘স্যার’ করতেসে। কিন্তু জেমস-হাসান যেন তার বন্ধু।’
কালের আলো/এফএ/এমএম