সংস্কার হচ্ছে রেলের ২১ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন
প্রকাশিতঃ 10:50 am | June 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে রেলওয়ের ২১টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন। এ সংস্কারের ফলে ইঞ্জিনগুলো আরো ২০ বছর সেবা দিতে পারবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের উপস্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সূত্র জানায়, ১ হাজার ৬৫০ হর্স পাওয়ার বিশিষ্ট ২১টি ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ ১৯৯৫ সালে জার্মানি থেকে কেনা হয়েছিল। মিটারগেজ ডিজেল লোকোমোটিভগুলোর আয়ুষ্কাল আরও আগেই পেরিয়ে গেছে। এখন ভালো সেবা দিতে পারছে না। এ জন্য এসব পুরাতন ইঞ্জিন মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই ২১টি লোকোমোটিভ প্রধানত মেইন লাইনে চলাচল করত। তবে বর্তমানে এগুলো কার্যক্ষমতা একেবারে কম। বিভিন্ন জটিলতার কারণে এসব লোকোমোটিভগুলো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক লোকোমোটিভ সিডিউল ওভারভিউ অবস্থায় পড়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটির ফলে রেলের সেবার পরিধি বাড়বে। ইঞ্জিনগুলো ২০ বছরের জন্য নবযৌবন ফিরে পাবে। ফলে রেলের গতি বাড়বে। গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রেল বিভাগ থেকে প্রেরিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ণ’ শীর্ষক প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়ন বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প। পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় চলবে এই প্রকল্পের কাজ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে লোকোমোটিভ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। নতুন রূপে ঢেলে সাজানোর ফলে আরও ২০ বছর সার্ভিস দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) একজন কর্মকর্তা বলেন, ২১টি লোকোমোটিভ জার্মানি থেকে কেনা হয় ১৯৯৫ সালে। দেখতে দেখতে ২০ বছর হয়ে গেছে। এগুলোকে নবরূপ দেওয়া হবে। ফলে অনায়াসে আরও ২০ বছর এগুলো পরিচালনা করা যাবে। রেলপথে আরও গতি বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কালের আলো/এনএল/এমএম