কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার গাড়িতে গুলি, বিক্ষোভ

প্রকাশিতঃ 7:22 pm | March 05, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের গাড়ি লক্ষ করে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।

বাবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বরিবার রাতের অন্ধকারে বাসার সামনে থাকা সাদা গাড়িটিকে লক্ষ করে ৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা গাড়িতে না থাকায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

সোমবার কোতোয়ালী থানায় বাবরের ভাই ফয়জুল আকবর চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা এ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অব্যাহত আছে। সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনেও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিন বলেন, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেয়া হলেও কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে? কেন ঘটিয়েছে? সে বিষয়ে সুষ্টু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত নেপথ্যদের বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও নগর ছাত্রলীগের স্টীয়ারিং কমিটির সাবেক অন্যতম সদস্য ও এসইএস কলেজ ছাত্রলীগের জিএস হেলাল আকবর চৌধুরী দীর্ঘ বছর ধরেই এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে মহিউদ্দিন পুত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে মহিউদ্দিন অনুসারীরা শেখ হাসিনার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন সকলেই। হেলাল আকবর বাবর নগর যুবলীগের সভাপতি হতে যাচ্ছেন এমন আলোচনাও আছে তৃণমূলে। তাছাড়া নানাবিধ সমিকরণে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে এসব বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে চট্টগ্রামে।

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর চৌধুরী বাবর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ও দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এমন সময় সরকারের শেষ সময়ে একটি চক্র শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ ও পরিস্থিতি অন্যদিকে নেয়ার জন্য যড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন হামলা করেছে। এ হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

যুবনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী বলেন, যুবলীগ নেতা বাবর ভাইয়ের সাদা জিপটি ডিসি হিলের অদূরে নিজ বাড়ির সামনে পার্ক করা ছিল। ড্রাইভারসহ সবাই বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় নীল রঙের একটি প্রাইভেট কার দ্রুত গতিতে এসে উপর্যুপরি চার রাউন্ড গুলি করে। তিন রাউন্ড গুলি তার গাড়িতে লাগে। এক রাউন্ড বাড়ির দেয়ালে বিদ্ধ হয়।

 

কালের আলো/এসএম

Print Friendly, PDF & Email