‘বিভ্রান্তি’ দূর করে দুদক জানালো ‘অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআই’র সাবেক ডিজি হামিদুল হকের নয়’

প্রকাশিতঃ 10:18 pm | July 08, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত, এমন খবরে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাস্তবে অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলো তাঁর ব্যক্তিগত নয়। এসব ব্যাংক হিসাব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডিজিএফআই এর। কিন্তু সোমবার (০৭ জুলাই) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে ব্যাংক হিসাবগুলো সাবেক এই ডিজির দাবি করে খবর প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একদিন পর পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘গতকাল ডিজিএফআইয়ের একটি বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মেজর জেনারেল হামিদুল হকের ব্যক্তিগত নামে যেটা প্রচার করা হয়েছিল; আসলে এটা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট।’

তিনি বলেন, ‘কোন কর্মকর্তা যখন ডিডিও থাকেন, আয়নব্যান্ড কর্মকর্তা যিনি থাকেন সাধারণত তার নামে অ্যাকাউন্টগুলো থাকে। যখন ডিডিও পরিবর্তন হয়ে যায়; অবসরে যেতে পারেন, বদলি হতে পারে, সেসব কারণে দেখা যায় পরবর্তীতে যিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন আয়নব্যান্ড কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে যায়। ব্যাংকে এই তথ্যগুলো আপডেট ছিল না। এই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক টিমের টাকার বিষয়ে যে তথ্যটা এসেছে সেটা জব্দ করা হয়েছিল। এটা বিভ্রান্তি হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত বিভ্রান্তি দূর করে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘এগুলো আপডেট করার কথা ছিল ব্যাংকের, কারণ আমাদের কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকেই তথ্য নেন। পরে ডিজিএফআইএয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- এটা আসলে প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট। তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ছিল না।’

এর আগে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত এই শিরোনামে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সোমবার (৭ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত এই আদেশ দেন বলে জানানো হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুদক মহাপরিচালক এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্য গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেন। এরপর দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো এই বিষয়ে সংশোধিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়া অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সন থেকেও নিউজটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দুদকের সংশোধিত বক্তব্যটি প্রায় সব গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।

কালের আলো/আরআই/এমকে