গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি, রানওয়েতে বড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

প্রকাশিতঃ 2:45 pm | July 22, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট। তবে রানওয়েতে টেকঅফ চলাকালীনই বিমানে ধরা পড়ে কারিগরি ত্রুটি। তখন রানওয়ে ধরে বিমানটি ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে।

ঠিক সেই মুহূর্তে পাইলটরা জরুরি ব্রেক কষে বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করে দেন। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান সব যাত্রী। সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দিল্লি থেকে কলকাতাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নম্বর এআই২৪০৩-এর উড্ডয়ন করার কথা ছিল সোমবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু রানওয়েতে টেকঅফ চলাকালেই কারিগরি সমস্যা চিহ্নিত হয়। এরপর নিয়ম মেনেই পাইলটরা সিদ্ধান্ত নেন উড্ডয়ন বাতিল করার।

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দিল্লি থেকে কলকাতা যাওয়ার ফ্লাইট এআই২৪০৩-এর যাত্রা পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। টেকঅফ রোলের সময় একটি কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় ফ্লাইটটি উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী ককপিট ক্রুরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

বিমান সংস্থাটি আরও জানায়, সব যাত্রীকে নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং দিল্লিতে গ্রাউন্ড টিম যাত্রীদের সহায়তা করছে। এমন আকস্মিক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের যেসব অসুবিধা হয়েছে তার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। পাশাপাশি সংস্থাটি বলেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

অবশ্য এটা প্রথম নয়, সোমবার এটাই ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় বড় ঘটনা। এর আগে মুম্বাইতে কোচি থেকে আসা একটি বিমানের ল্যান্ডিংয়ের সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ও একপাশে সরে যায়।

এনডিটিভির হাতে আসা ছবিতে দেখা যায়, বিমানের পেছনে ঘাস আটকে রয়েছে এবং এক ইঞ্জিনে ক্ষতির চিহ্ন রয়েছে। রানওয়েতেও ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও বিমানে থাকা সবাই নিরাপদেই ছিলেন।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অবতরণের পর বিমানটি রানওয়ে থেকে এক পাশে সরে যায়, যার ফলে বিমানের একটি চাকা চলে যায় রানওয়ের ঘাসযুক্ত জায়গায়। এতে রানওয়ের তিনটি সাইনবোর্ড ও চারটি আলো ভেঙে যায়।

এই ঘটনার পর বিমানটিকে “গ্রাউন্ডেড” ঘোষণা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই পাইলটকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তদন্ত পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কালের আলো/এসএকে