গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশে তাকে এ পদে বসানো হয়।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠান। ওই সময় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করা হবে এমন আলোচনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ না করে পদে থাকতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে লবিং করতে শুরু করেন। এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। গত ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযানে যায় সংস্থাটি। বিএফআইইউর বিশেষ অভিযানে গত আগস্টের পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক মাসের জন্য তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা, নিলে কোন খাতের নামে নিয়েছেন সে সম্পর্কিত তথ্যও নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পরিচালনা পর্ষদ বা বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করেই এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ বিষয়ে বোর্ডে কোনো মেমো উত্থাপন করেননি তিনি। কেবল মৌখিকভাবে অবহিত করে যান যে, ক্রেডিট লাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক একটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও বিশেষ আমন্ত্রণ ছাড়া কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকের সুযোগ নেই। ব্যাংকের পরিচালনাগত বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করবে। পর্ষদ কেবল নীতিপ্রণয়নে ভূমিকা রাখবে।