যৌন নিপীড়নের অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বললেন অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ

প্রকাশিতঃ 9:02 am | May 02, 2019

কালের আলো ডেস্কঃ

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী।

তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রী ও ৫ জন ছাত্র আছেন।

তারা মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ১৪টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছেন।

এ ঘটনায় মাসুদ মাহমুদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজেকে নির্দোষ ও এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে, এ অভিযোগের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অপর একটি অংশ অধ্যাপক মাসুদকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপসারণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে ক্যাম্পাসে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা অধ্যাপক মাসুদের পক্ষাবলম্বন করে পালটা অভিযোগ করে নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

জানা গেছে, ইংরেজি সাহিত্য পড়ানোর সময় কোর্সের অন্তর্ভুক্ত কবিতার বিষয়বস্তু অনুযায়ী নারী-পুরুষ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক মাহমুদের উপস্থাপনা কারও কারও কাছে আপত্তিকর মনে হয়।

এর পর এটিকে তারা যৌন নিপীড়ন হিসেবে অভিহিত করে অভিযোগ আনেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার কোনও মিডিয়া নেই, সংবাদপত্র নেই। তাই ফেসবুকের মাধ্যমেই আমি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ছেলেমেয়েদের কয়েকটি কথা বলতে চাই। ‘তোমরা আমার সন্তান। যে অভিযোগ তোমরা করেছ তা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও তোমাদের প্রতি আমার একবিন্দুও ক্ষোভ নেই।

আমি জানি তোমরা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে পড়েছ। তোমাদের ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করে কেউ কেউ তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে। কিন্তু যতো যাই হোক না কেন তোমরা একটা ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পার— আমি আজও তোমাদের শিক্ষক এবং আমার দ্বারা অন্তত তোমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং কেউ তোমাদের ক্ষতি করতে গেলে আমিই সবার আগে বুক পেতে দেব।

‘তবে পরিস্থিতি আমার জন্য এতটাই অবমাননাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি তোমাদের আর পাঠদানে অপারগতা প্রকাশ করছি। তোমাদের শিক্ষা ও ফলাফল সম্পর্কিত কোনও কিছুতেই আমি আর সম্পর্কিত থাকতে পারি না অন্তত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আগে পর্যন্ত। আমার বিবেক সায় দেয় না। ‘আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষা ও ব্যক্তিগত জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করি।’

এর আগে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ ইংরেজি বিভাগের মানোন্নয়নের প্রয়োজনে এবং অনিয়মের অভিযোগে কয়েকজন খণ্ডকালীন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেন।

ওই চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ইন্ধনেই মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করেছে।

অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ৪০ বছর শিক্ষকতা করেছেন।

কালের আলো/এমএইচ/এফআর