রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে কেটেছে উদ্বেগ

প্রকাশিতঃ 11:18 pm | May 24, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ করতে চাওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গত দু’দিন যাবত নানান আলোচনা। এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রবিবার (২৫ মে) বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২৪ মে) বিভিন্ন দলের নেতাদের ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলো কী কী আলোচনা করছে, যমুনায় কী ঘটছে এসব নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

মূলত দেশের চলমান ইস্যু এবং সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সবাই এক বাক্যে প্রধান উপদেষ্টা পদে ড.ইউনূসকেই অপরিহার্য বলে মত দিয়েছেন। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সাফ সাফ বলেছে, বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায়নি। বরং শুরু থেকেই এই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে দলটি। সরকারের সংস্কারের বিষয়েও ঐকমত্য বলে জানিয়েছে দলটি। তবে তাঁরা সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে দেশে কিছুটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এখন অস্থিরতা কেটেছে।’ বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার পদত্যাগের ভাবনার কথা জানান। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার কথা জানাজানি হওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মহলে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। দেশবাসীর মধ্যেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। দেশের ক্রান্তিকালে অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন-এমনটা কোনো দলই চায় না বলে তাঁরা শুরুতেই জানিয়েছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংস্কার ও হত্যাযজ্ঞের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা কী, তাও জানতে চায়। দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শনিবার (২৪ মে) বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করে। যমুনার এই বৈঠকের দিকে তাই তাকিয়ে ছিল সারা দেশ। অর্থবহ বৈঠকের মধ্যে দিয়ে সব উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে। আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়েই সব পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়ে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায়নি। বরং শুরু থেকেই এই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে দলটি। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। বৈঠক শেষে রাত পৌনে ৯টার দিকে যমুনার সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খন্দকার মোশাররফ।

বৈঠকের বিষয়বস্তু আগে জানানো হয়নি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি শুরু থেকেই একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবি আমরা প্রকাশ্যেই করে এসেছি। পাশাপাশি, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।

  • বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি : ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
  • অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল এখন অস্থিরতা কেটেছে : ডা. শফিকুর রহমান
  • আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছি : নাহিদ ইসলাম

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। তাই এই বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য বিএনপি যখন ক্ষমতায় যাবে, তখন একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই এসব বিচারের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন বিষয়ে সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবি আমরা জানিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।

নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে স্বৈরাচার ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যত বেশি বিলম্ব করা হবে, আমরা মনে করি জাতির কাছে আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসার সম্ভাবনা তত বেশি বাড়বে। আর এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উপরেই বর্তাবে। গুজবের বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি, বরং শুরু থেকেই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে।

বৈঠকে তিনটি প্রধান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, বিচারকার্য এবং নির্বাচন সংস্কার নিয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বৈঠকে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সংস্কারের বিষয়ে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি। আর সংস্কারগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হবে। আর এটা খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। এখানে কোনো দ্বিমত পোষণ করা হয়নি। নির্বাচনের বিষয়ে এমন কথাও হয়েছে, চাইলে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, আজকে দেশের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, তার শেষ হয়ে শান্তি ফিরে আসবে একটি ঘোষণার মাধ্যমেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন উপদেষ্টাকে বাদ দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি, আগেও জানিয়েছি। তারা হলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুই জন ছাত্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, তাদের কারণে এ সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের বাদ দেওয়ার জন্য আমরা আজকেও লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, এটা তারা দেখবেন। আমরা আমাদের কথা বলেছি।

অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল এখন অস্থিরতা কেটেছে
শনিবার (২৪ মে) রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে দেশে কিছুটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল উল্লেখ করে এখন অস্থিরতা কেটেছে। দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো।’

তিনি বলেন, ‘গত পরশুদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের একটা বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে প্রধান উপদেষ্টা একটি মেসেজ জাতিকে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সেটা দেননি। কিন্তু এটা খুব দ্রুত সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে এক ধরনের আশঙ্কা বিরাজ করে। আমরা সেটাকে আমলে নিয়েছি।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘একই সময়ে একজন রাজনৈতিক নেতা তার জনপ্রতিনিধিদের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আরেক জায়গায় আরেকজনরা গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিষয়টা কিছুটা কষ্টের ও বিরক্তির। যার কারণে তিনি তার দায়িত্বের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন- এমনটি প্রকাশ করেছিলেন। এ বিষয় নিয়ে আপনারাও আমাদের সঙ্গে বিচলিত ছিলেন।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। দেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনে এখন যারা সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের পরিচয় হলো, তারা কোনো দলকে বিলংস করবে না। এটা হওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলের দাবি ছিল, অর্থবহ একটি সংস্কার হবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা অর্থবহ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের সুস্থ মাঠ থাকবে, যারা অংশগ্রহণ করবে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হবে না, পেশীশক্তির প্রবণতা থাকবে না। সাড়ে ১৫ বছর জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এবার তারা ভোট দিতে পারবে, সেটা নিশ্চিত হবে- এটাই ছিল আমাদের দাবি।’ জামায়াত আমির বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে কয়েকবার বলেছেন, তিনি নির্বাচন দিতে চান এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেননি। এটাকে কেন্দ্র করে কোনো দিন মাস ঘোষণা করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি দুটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। আমরা মনে করি, সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপের ঘোষণা হলে সংশয় অনেকটাই কেটে যাবে।’ এসময় জামায়াতের নায়েবে আমির ড. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও উপস্থিত ছিলেন।

ড.ইউনূসের প্রতি সমর্থন জাতীয় নাগরিক পার্টির
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই আলোচনায় আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে একটা দাবি ছিল আমাদের; যেটা ৩০ দিনের ভেতরে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, জুলাই আন্দোলনে যারা আহত ও শহীদ হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও ধীরগতির মনে হচ্ছে। আর এই আর্থিক বিষয়টা যেন সঠিকভাবে হয় সেই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি।’

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে যে সকল নির্বাচন হয়েছিল সেগুলো বিতর্কিত ছিল। তাই সেই পূর্বের নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছি। গণঅভ্যুত্থানে যে সকল ছাত্র প্রতিনিধিরা উপদেষ্টা হয়েছেন তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। এ বিষয়ে আমরা আজকে স্পষ্ট করেছি। তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হয়েছেন।

নাহিদ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আজকে বলেছি উনি যেন দায়িত্বে থাকেন এবং দায়িত্বে থেকে গণঅভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা সেটি বাস্তবায়নের কাজ করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা নিতে চাননি উল্লেখ করে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতাশা ব্যক্ত করেছেন। উনি ক্ষমতা নিতে চাননি আমরাই তাকে ক্ষমতা দিয়েছি। উনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তিনি কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে আমরা উনাকে বুঝিয়েছি, উনি যেন সকল কিছু বাদ দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা সেটাকে লক্ষ্য হিসেবে রেখে কাজ করে যান।

কালের আলো/আরআই/এমএসএএকে