বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতে বললেন দীপু মনি
প্রকাশিতঃ 4:57 pm | April 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আমরা অবিচল থাকবো। বাংলাদেশের প্রতি যদি আমাদের আনুগত্য থাকে তাহেল সেই আদর্শের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। আর এসময়ে আমরা যে যে অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছি, তাদের জন্য এটি একটি সৌভাগ্য। আমাদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা জনপ্রতিনিধি তাদের সব সময় প্রশাসন এবং দলের সঙ্গে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রশাসন ও দলের সঙ্গে দূরত্ব থাকলে আমরা জনগণের সেবা যথাযথভাবে দিতে পারব না।
দীপু মনি বলেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ ঘোষিত হয়েছে মুজিববর্ষ হিসেবে। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন করবো। আর এ উপলক্ষে সারা বছর ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন খেলাধুলারও আয়োজন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার ডলার। বাংলাদেশের উন্নয়নের যে অগ্রগতি, সেটির ছোঁয়া দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই। আর এজন্য প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ করেছেন, আমি মনে করি তারা খেলার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড় সুলভ আচরণ শিখবে এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তারা সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী হবে এবং তারা সকল প্রকার সামাজিক ব্যাধি জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং থেকে দূরে থাকবে। তারা এ ধরনের কাজ থেকে অন্যদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে।
মন্ত্রী বলেন, খেলা, সাংস্কৃতিসহ সকল দিক দিয় আমরা চাঁদপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তার জন্য যারা ব্যবসায়ী সমাজ রয়েছেন, তারা সরকারের পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এগিয়ে আসবেন। কারণ চাঁদপুরের স্থানীয় ক্লাবগুলো খেলাধুলা পরিচালনা করতে অনেক কষ্ট হয়। তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা বিভিন্ন ক্লাবে জড়িত আছেন, সেইসব ক্লাবসহ অন্য ক্লাবগুলোকে সহযোগিতা করে এগিয়ে আনবেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যে অসাম্প্রদায়িক ধ্যান ধারণা বিশ্বাস করে সে জন্যে আমাদের দেশের এ ধরণের জঙ্গীবাদ আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সুযোগ নেই। আমাদের দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল নানাভাবে জঙ্গীবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ছে। তাই একসময় এর উত্থান ঘটেছিলো।

তিনি বলেন, কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়গুলো যেভাবে মোকাবেলা করেছেন তা সারা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছে। দেশের মানুষ সক্রিয়ভাবে সহযোগীতা করছে বলেই, এমন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব।
নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-কমিটির সম্পাদক শেখ মোতালেব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু। খেলায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভূক্ত ২০টি ক্লাবের মধ্যে ৮টি ক্লাব অংশগ্রহণ করবে।
কালের আলো/এমএইচএ