বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুয়া এনআইডি তৈরি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা

প্রকাশিতঃ 7:18 pm | May 09, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির বিজ্ঞাপন দিতো একটি চক্র। ভুয়া এনআইডি তৈরি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মচারীও রয়েছে ওই চক্রে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে, বুধবার পাবনা থেকে ওই চক্রের ‘মূল হোতা’ লিটন মোল্লা (২৩) এবং বাগেরহাট থেকে জেলার থানা নির্বাচন কমিশন অফিসের ডাটা অপারেটর মো. জামাল উদ্দিনকে (৩৮) গ্রেফতার করে সিটিটিসি।

তিনি বলেন, ‘হারানো এনআইডির কপি উত্তোলন, এনআইডি সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন এবং করোনার টিকার সার্টিফিকেটের কপি সরবরাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতো ওই চক্র। জামাল উদ্দিনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন অফিসের সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করতো লিটন। ভুয়া এনআইডি, জন্মনিবন্ধন, টিকার সার্টিফিকেটের বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতো তারা।’

গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রাহকদের সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতো চক্রের সদস্যরা। এভাবে লিটন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। জামাল আত্মসাৎ করে ১০ লাখ টাকা।’

এক প্রশ্নের উত্তরে সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘এই চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্তরত কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত আছে। এছাড়াও আর কেউ জড়িত কিনা তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারাই জড়িত থাকুক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

কালের আলো/ডিএস/এমএম