বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না : র্যাব ডিজি
প্রকাশিতঃ 7:59 pm | April 17, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সম্প্রতি কুকি-চিনের সশস্ত্র বাহিনীর বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি এবং ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। আমাদের স্বাধীন দেশ, বঙ্গবন্ধুর এ দেশে কোনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না। আমরা চাই যারা বিপথে গিয়েছে তারা যদি আত্মসর্মপণ করে তাহলে তাদের সুযোগ দিয়ে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে। এর আগে জলদস্যুদেরও পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা যতক্ষণ শান্তির পথে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং এ রাবের মহাপরিচালক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (রাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন এ কথা বলেন।
শান্তি আলোচনার বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, শান্তি আলোচনার পথ সব সময় খোলা আছে। তারা যদি শান্তি কমিটির মাধ্যমে নিজেরা সুপথে ফিরে আসতে না চান তাহলে ডিসি, এসপি, এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসুক। কারণ আমরা স্বাধীন দেশে রক্তপাত চাই না। আমরা চাই বিপথগামী সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ফিরে আসুক।
অভিযানে নিরপরাধ মানুষদের আটক ও খাদ্য পরিবহনে বাধা দেওয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই আনা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি অভিযানে কিছু বিধিনিষেধ থাকে যা সকলকে মানতে হবে। পূর্বেও কেএনএফের সদস্যরা হাটবাজারে আসত না। তাদের খাদ্যসামগ্রী অন্যরা সরবরাহ করেছে। সেজন্য অভিযানিক এলাকায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু বাধানিষেধ কার্যকর আছে।
এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্ণেল মোঃ মাহাবুব আলম, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ বিজিবি, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রুমা থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় কেএনএফ সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৯ জন নারী এবং ৪৪ জন পুরুষসহ ৬৩ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। যারা বর্তমানে কারাগারে আছে।
কালের আলো/ডিএস/এমএম