ঈদে সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে ডিএমপি : কমিশনার
প্রকাশিতঃ 4:26 pm | April 02, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঈদে মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা ক্রেতা ও ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়া মানুষদের সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে কেনা-কাটা করতে আসা মানুষ ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় প্রতিটি মার্কেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে চুরি-ছিনতাই রোধে গোয়েন্দা পুলিশও মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে পবিত্র ঈদ উল-ফিতর উপলক্ষে শপিংমল ও বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
ঈদকে কেন্দ্র দেড় কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে বলে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষের যাতায়াত ও ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ডিএমপির বিশেষ টিম টহলে থাকবে। তবে মূল্যবান মালামালের বিষয় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বড় যানবাহনে যাতায়াত করা অধিক নিরাপদ
হাবিবুর রহমান বলেন, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে গত এক বছরে যত দুর্ঘটনা হয়েছে তার অর্ধেকের বেশিই মোটরবাইকের। সেই পরিসংখ্যানই বলে দেয় আমাদের কী করতে হবে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা যারা ছুটিতে দূরদূরান্তে যাবেন, তাদের আমরা নিরউৎসাহী করিনি। নিষেধ করেছি তারা কোনো অবস্থাতেই মোটরসাইকেল নিয়ে নিজের এলাকায় যেতে পারবেন না। মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশ সদস্যদের যেতে নিষেধ করেছি। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। অনেকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে এ বিষয়ে যে ঈদের সময় অনেক গাড়ির চাপ থাকে, কিছুটা দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা কী করবেন তাদের ভাবা উচিত। ছোট যানবাহন এড়িয়ে বড় যানবাহনে যাতায়াত করা অধিক নিরাপদ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। ঈদের সময় কোনো অবস্থাতেই যেন ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় না নামে সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশও রাস্তায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এসব এলাকা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে আসা যাবে না।
তিনি বলেন, পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে যেখান থেকে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করা হবে, সেখানে পুলিশের সঙ্গে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজনকারী সংগঠনগুলোর একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। কোথাও সন্দেহভাজন কাউকে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি দেখে তাঁকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথাও কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যত্যয় দেখা দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই এলাকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রার পথ ও আশপাশের এলাকা সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে। কোনো দুষ্কৃতকারী বাইরে থেকে অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে ভিডিও ফুটেজ দেখে সহজেই তাকে শনাক্ত করা যাবে। যদিও এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই, তবু সতর্কতার স্বার্থে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সাইবার গুজব প্রতিরোধের জন্য ডিএমপির সাইবার টিম প্রস্তুত রয়েছে। কোনো প্রকার সাইবার গুজব কারও নজরে এলে প্রথমেই পুলিশকে অবহিত করতে হবে। পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে মসজিদে যাতে কোনো প্রকার নেতিবাচক প্রচার বা আলোচনা না করা হয়, সে জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কালের আলো/ডিএস/এমএম