সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজন টুইন ব্যারেল এ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ সেনাপ্রধানের
প্রকাশিতঃ 10:21 pm | March 11, 2024

কালের আলো রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত হয়েছে ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫ মিঃ মিঃ টুইন ব্যারেল এ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম। দেশের মাটিতে প্রথমবারের মত সোমবার (১১ মার্চ) পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ইনানীস্থ এডি ফায়ারিং রেঞ্জে অত্যাধুনিক এ গান সিস্টেমের ফায়ারিং অবলোকন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে অর্ধেক কম খরচে নিজেদের তৈরি ড্রোন দিয়ে ফায়ারিংয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এ প্রসঙ্গে বিশদ জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘রণকৌশলের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। আর এ রণকৌশলের ব্যাপক পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পাচ্ছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা। আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে নতুন যে গান সংযোজন হয়েছে সেগুলোর ফায়ারিং আমরা দেখতে এসেছি। ফায়ারিং’র মানে আমরা সন্তুষ্ট। যে টার্গেটে আমরা ফায়ারিং করলাম সে ড্রোন আমাদের নিজস্ব তৈরি। আগে আমরা ফায়ারিং করেছি বিদেশ থেকে আনা ড্রোন দিয়ে। সেজন্য আমাদের অনেক টাকা লাগতো। এখন আমরা অর্ধেক কম খরচে এ ড্রোন তৈরি করেছি। আমি খুব বেশি। আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে সবকিছু আমরা সরকার থেকে পাচ্ছি।’ ভবিষ্যতেও সরকার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, এদিন প্রথমবারের মত ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫ মিঃ মিঃ টুইন ব্যারেল এ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম এর ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। এ গান সিস্টেম ৪ কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল এবং আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।’
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতিটি সেনা সদস্য দেশমাতৃকার প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে যে সম্মান অর্জন করেছে সম্পূর্ণ আমাদের পেশাদারিত্বের কারণে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এক নম্বর ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রি। আমাদের হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন শূন্যের কোঠায়। আমি শুনিনি বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। প্রতিটি সোলজার থেকে অফিসাররা মানুষের প্রতি অত্যন্ত দরদ দেখিয়ে কাজ করে। যে কারণে মিশনে অনেক ডিমান্ড আমাদের।’
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (এজি) মেজর জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট; ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারসহ সেনাসদর এবং কক্সবাজার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে