অপরাধী যেই হোক, ছাড় নয় : ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশিতঃ 12:56 pm | October 02, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা, মিট দ্যা প্রেস আয়োজন করে ডিএমপি।
নতুন কমিশনার বলেন, ডিএমপির মধ্যে থানায় সেবার মান বাড়ানোর জন্য ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে। ‘মেসেজ টু কমিশনারে’ ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে সেবা না পেলে যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এছাড়া ডিবিতে গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি তাকে জানাতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। নতুন ধরনের ক্রাইমের অভিযোগ আসছে ডিএমপিতে। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি।
হাবিবুর রহমান বলেন, গতকাল আমাকে একজন ফোন করে বলেছেন, তার স্বামী থাপ্পড় মেরেছে। তার স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে চান। এই কারণে তিনি সরাসরি আমাকে ফোন করেন।
তিনি বলেন, থানায় এসে যেন কেউ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে না যান সে জন্য থানায় সব পুলিশের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাংলাদেশ পুলিশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন নতুন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের ‘একটি রাষ্ট্র থেকে ভিসানীতির ঘোষণা এসেছে। পুলিশ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে যদি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করে তাহলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এটা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর ভেতরে কোনো ধরনের প্রভাব বা আতঙ্ক রয়েছে কি না। থাকলে আপনারা মনোবল চাঙ্গার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?’ -এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি নির্বিঘ্নে বলতে চাই। একটি দেশের ভিসানীতি কি হবে এটি তাদের বিষয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের চিন্তার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আমি কোনো দিন… একটি দেশের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কোনো দিন ওই দেশে যাই নাই, আমার যাওয়ার ইচ্ছাও নেই। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি যোগদান করে আমার পুলিশের ভেতরে এরকম কোনো চিন্তার বিষয় দেখি নাই। এটি একটি পর্যায়ের ব্যবস্থা। সংগঠন পর্যায়ের কোনো ব্যবস্থা নয়। সংগঠন হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময়ই ঢাকাবাসীর জন্য এবং ঢাকার জনগণের জন্য, নিরাপদ ঢাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা (পুলিশ) এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করে না।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/বিএসবি/এনএল