ড. ইউনুস নিজের সম্মানহানিই করেছেন, মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 

প্রকাশিতঃ 7:37 pm | March 12, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আদালতের রায়কে সম্মান না দেখিয়ে বিশ্ব নেতাদের দিয়ে চিঠি ইস্যু করে নোবেল জয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনুস নিজের সম্মানহানিই করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। 

রোববার (১২ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই হত্যা করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ যখন পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দেশের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছিলেন তিনি, তখনই ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। 

ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তার পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন, উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকের স্বপ্নপূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।’ 

এ সময় বিএনপির সুষ্ঠু নির্বাচন দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র ডিকশনারিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংজ্ঞা হচ্ছে যে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। বিএনপি’র মতে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসলে সে নির্বাচন আর সুষ্ঠু হয় না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পরিকল্পনা থেকে বিচারপতি কে এম হাসানের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে সেনা শাসনের পথ সুগম করার জন্য বিএনপিই দায়ী।

তিনি বলেন, তখন আওয়ামী লীগের কোন আহবানে বিএনপি সাড়া দেয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরোয়া তারা তখন করেনি। 

জাতির পিতা ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অথচ সেই মহান নেতার ভাষণই একসময় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’ তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিএনপি জামাতের এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম  ফরাজী। 

কালের আলো/এমকে/জিকেএম