সওজের প্রধান প্রকৌশলীকে নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তি!
প্রকাশিতঃ 10:30 pm | October 06, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
২০১৯-২০ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান। পরপর দু’অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় প্রথম স্থান অর্জন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের এপিএ টিমের টিম-লিডার হিসেবেও তিনি পেয়েছেন সম্মাননা সনদ। ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রায় শতভাগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের জন্য এই প্রধান প্রকৌশলীকে নিজ মন্ত্রণালয় থেকে অভিনন্দিত করা হয়।
দীর্ঘ চাকরি জীবনে মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখলেও এবার তাকে নিয়েই নতুন করে ‘জলঘোলা’ হচ্ছে। চলছে ভেতরে-বাইরে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুকৌশলী তৎপরতা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সওজ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষেরাও। চাঁদপুরের দক্ষিণ মতলবে জন্ম নেওয়া এই প্রধান প্রকৌশলীর বাবা আব্দুল লতিফ পাঠান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। প্রধান প্রকৌশলী নিজেও দাবি করেছেন তাকে নিয়ে অসত্য ও বানোয়াট তথ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
এমন দাবির স্বপক্ষে সওজের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ কে এম মনির হোসেন পাঠান গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় একটি বিশেষ মহল তাঁর ওপর নাখোশ। ফলে শেষ মুহুর্তে এসে তাঁর সাদা জামায় কালো দাগ লাগাতে পূর্ণোদ্যমে আদাজল খেয়েই মাঠে নেমেছে একটি চক্র।
সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেন, ‘প্রতিবেদনে অনেক বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এতে আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’
শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে তাঁর কোনো বাণিজ্যিক লেনদেন নেই জানিয়ে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অর্থ সেখানে বিনিয়োগ করা হয়নি। ছেলে ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায়ী। আমার এবং আমার ছেলের নামে যে সম্পদ রয়েছে তা আয়কর ফাইলে দেখানো আছে। আমাদের ফাইল বহির্ভূত কোন সম্পদ নেই।’
নিজের ছোট ভাইয়ের বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধেও সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপিত হয়নি। যেসব সাব কন্টাক্টকররা কাজ করেছে তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে। সব টাকা দেওয়ার পর তাঁর প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ব্যালান্স রয়েছে। টাকা যাদের পেমেন্ট করা হয়েছে সেই তথ্যগুলো চেপে যাওয়া হয়েছে।’
সওজ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালনে ছোট-বড় সব পর্যায়ের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। এতে অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যের ইমেজ সঙ্কট তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবেই তাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
কালের আলো/ডিএসবি/এমএম