দেশজুড়ে ওএমএস সুবিধায় সাড়া, সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনে খুশি কার্ডধারীরা

প্রকাশিতঃ 6:37 pm | September 01, 2022

মো: শামসুল আলম খান, কালের আলো:

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেশের ২ হাজার ৩৬৩ টি কেন্দ্রে এই বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আজিমপুরে ছাপড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে সারাদেশে শুরু হওয়া খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির চাল-আটা উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে বলেও জানান তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি ধরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে কার্ডধারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারবেন। প্রথম দিনেই সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পেরে কার্ডধারীরা নিজেদের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিন সকাল ১১ টার দিকে ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী এবং টিসিবির কার্ডহোল্ডারদের মধ্যে চাল ও আটা বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। এ সময় তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। যে কারণে ওএমএস’র মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল এবং আটা দেয়া হবে। যার মাধ্যমে কমে আসবে দ্রব্যমূল্যের দাম। লাগাম টানা সম্ভব হবে আসাধু সিন্ডিকেটের।’

ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলায় ৩৫১ টি ইউনিয়নে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৪ শত ৯৯ জন উপকারভোগী ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে ১৭ হাজার ৪ শত ১৫ মেট্রিক টন চাল পাবেন। ইতিমধ্যে ডিজিটাল ডাটাবেজে উপকারভোগীদের এই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলার ১৪৫ টি ইউনিয়নে ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৮ জন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি হারে ৮ হাজার ৯ শত ৪২ মে.টন চাল বিতরণ করা হবে।’

ডিসি আরও জানান, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৭ টি দোকানের মাধ্যমে এবং জেলা সদরের বাইরে দু’টি উপজেলায় এবং ১০ টি পৌরসভায় ৪২ টি দোকানে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে মোট ৮৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব রায়না আহমেদ, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমিনুল এহসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনোরঞ্জন বর্মন, মো. আজওয়াদ হাসান প্রমুখ।

পরে দুপুরে নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোড এলাকায় ওএমএস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করেন ডিলাররা।

আমাদের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে তুলে ধরা হচ্ছে বিস্তারিত-
ঝালকাঠিতে সকাল সাড়ে ৯টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তাই নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।’

জেলায় ১২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৪ টন চাল বিক্রি করা হবে। জেলা সদরের ৪ হাজার ৮০০ জন দৈনিক এ সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে জেলার চারটি উপজেলার ৩২ হাজার ১৪০ পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে।

মেহেরপুরর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সকাল১০ টার দিকে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওএমএস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ওএমএস কার্যক্রম সম্প্রসারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

জেলার মেহেরপুর পৌরসভা এবং গাংনী পৌরসভায় ১২ জন ডিলার সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন ১৬ টন চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। প্রতিদিন ৩ হাজার ২শ জন প্রত্যেকে ৫ কেজি করে ওএমএস এর চাল কিনতে পারবে।

রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোসাইনী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, জেলায় ২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে তিনটি ক্যাটাগরিতে দৈনিক ৫৬ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। মাসে এ চালের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।

সুবিধাভোগী সুরবালা চাকমা ও সজীব চাকমা জানান, ‘বাজারে চালের অনেক দাম। এ সময় সরকার আমাদের ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে। এতে আমরা অনেক খুশি।’ দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।

পিরোজপুর জেলার ৩টি পৌরসভা ও ৩টি উপজেলায় ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সকালে শংকরপাশা ইউনিয়নের জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে ন্যায্যমূল্যে এ চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ সাঈদুর রহমান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সৌরেন্দ্র নাথ সাহা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শেখ মশিয়ার রহমান।

খাদ্যবান্ধব এই কর্মসূচিতে জেলার তিনটি পৌরসভায় প্রতিদিন ১১ জন ডিলারকে ২২ মেট্রিক টন চাল এবং ৩টি উপজেলায় ৬ জন ডিলারকে ১২ মেট্রিক টন চাল ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য দেয়া হবে।

এই কর্মসূচির আওতায় ৮৬ জন ডিলার ৩৫ হাজার ৮০৯ কার্ডধারী পরিবারকে ন্যায্যমূল্যে ১৫ টাকা কেজিতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি করবে। এছাড়াও টিসিবির কার্ডধারীরা প্রতি ১৫ দিনে ৫ কেজি করে মাসে ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

পটুয়াখালীতে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শহরের কোর্টপাড়ার ডিলার পয়েন্টে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা নাহিদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লিয়াকত হোসেনসহ উপকারভোগীরা।

৩০ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল সপ্তাহে ৫ দিন বিতরণ করা হবে। জেলার ৩২ ডিলার পয়েন্টে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ মেট্রিক টন ওএমএসের চাল বিতরণ করা হবে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর তিন মাস এ কর্মসূচি চলবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লিয়াকত হোসেন জানান, ওএমএসের এ কর্মসূচি ছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪০ জন হতদরিদ্র এ সুবিধার আওতায় এসেছেন।

নরসিংদীতে সকালে জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান পৌর শহরের শিক্ষাচত্বর এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই কার্যক্রমের আওতায় নরসিংদী জেলায় ৪৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে এবং ১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৫ কেজি করে দুবার ওএমএসের চাল কেনা যাবে। ওএমএস কার্যক্রমে প্রতি ডিলার দিনে ২ টন চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন, আটা পাচ্ছেন ৫০০ কেজি। ওএমএসের আওতায় ই জেলার ৬২ হাজার ৯৫৮ জন নিম্ন আয়ের মানুষ চাল ও আটা কেনার সুবিধা পাচ্ছেন।

নোয়াখালীতে সকালে নোয়াখালী পৌরসভার দত্তের হাট এলাকায় জেলা সদর ও পৌরসভার নিম্ন আয়ের মানুষ ও টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম মামুনুর রশিদ।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়ের মো. সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির।

জেলায় ৪২টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন ৮৪ মেট্রিক টন চাল ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১৯৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮২ হাজার ৫৫১ জন সুবিধাভোগী ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে আগামী তিন মাস চাল পাবেন।

যশোরে সকাল ৯টায় শহরের রেল রোডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।

ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে যশোর পৌরসভার ১৪টি স্থানে প্রতিদিন ২২ মেট্রিকটন, মণিরামপুর, কেশবপুর, নওয়াপাড়া, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও চৌগাছা পৌরসভার ২৬টি স্থানে প্রতিদিন ৫০ মেট্রিকটন এবং শার্শা উপজেলার দুটি স্থানে চার মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করা হবে।

এর পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন কার্ডধারী নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবেন। একজন কার্ডধারী মাসে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল পাবেন।

পঞ্চগড়ে সকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।

জেলায় খাদ‍্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত ৫১ হাজার তিনজন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল সরাসরি ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন।

এছাড়া আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চতুর্থ ধাপে জেলার নিবন্ধিত ৬৯ হাজার ৭৫ জন নিম্ন আয়ের মানুষকে ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি চিনি, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সোয়াবিন তেল ও ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল দেয়া হবে।

কালের আলো/বিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email