হারুন-রাসেল লাইসেন্স ছাড়াই ডিএসসিসির গাড়ি চলাচ্ছিলেন: র্যাব
প্রকাশিতঃ 9:15 pm | November 26, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির মূল চালক হারুন মিয়া ও ঘটনার সময় চাপা দেওয়া চালক রাসেল খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির ময়লার গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও মিডিয়া শাখা) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন জানায়, ২০২০ সাল থেকে সে সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী এ গাড়িটি নিয়মিত ভাবে চালাচ্ছেন। গত ২৪ নভেম্বর তার অনুপস্থিতিতে তার সহকারী মো. রাসেল খান গাড়িটি চালায়। হারুন ও রাসেল দু’জনের কারোরই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
এর আগে, শুক্রবার ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির মূল চালক হারুন মিয়া ওরফে কাইল্লা হারুনকে (৩৭) গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, অবৈধভাবে গাড়ি বরাদ্দ নিয়ে তা চালানোয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হারুন মিয়া ও এ কাজে সহযোগিতা করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী আব্দুর রাজ্জাককে কর্মচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি জানান, বরাদ্দ গাড়ি নিজে না চালিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে অন্যকে চালাতে দেওয়ায় করপোরেশনের গাড়িচালক (ভারী) মো. ইরান মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোলচত্বরের দক্ষিণ পাশে নাঈম হাসান (১৮) রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ট্রাক (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-শ ১১-১২৪৪) বেপরোয়া গতিতে নাঈমকে ধাক্কা দেয়। ওইসময় চালক ছিলেন চালক রাসেল খান।
এরপর নাঈমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে বেলা পৌনে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ট্রাকের চালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী ও বেলালকে আটক করে।
সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় ও ময়লার গাড়ি জব্দ করে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহ আলম দেওয়ান বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন। রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত চালক না। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত চালক হারুন রাসেল খানকে বদলি হিসেবে চালাতে দেন। গ্রেফতার চালক রাসেল খান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল