আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিনহা হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিতঃ 10:00 pm | August 25, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নির্ধারিত তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই তিন দিনে ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও মাত্র দুইজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্ভব হয়েছে। বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তিন দিন সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম ধাপ আজ শেষ হলো। মামলার বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ছাড়াও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিচারক এই হত্যা মামলার প্রথম ধাপের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর চার দিন ধার্য করেন।

পিপি ফরিদুল আলম জানান, ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিন দিন সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলার বাদী মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহারিয়ার ফেরদৌস এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে বিজ্ঞ আদালত। আশা করি খুব দ্রুত বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ‌্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হবে।

এদিকে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়েই সোমবার (২৩ আগস্ট) শুরু হয়েছিল বিচার কার্যক্রম। তার জবানবন্দির পর ১৫ আসামির আইনজীবীরা শারমিনকে জেরা করেন। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় সেসময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‍্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন র‍্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাস ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল