রাশিয়ার পর বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন

প্রকাশিতঃ 5:36 pm | April 29, 2021

নিজস্ব প্রতিবদেক, কালের আলো:

রাশিয়ার পর এবার চীনে উদ্ভাবিত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিনোফার্ম যে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে, আমরা আজকে সেটার ইমার্জেন্সি ইউজের অথরাইজেশন দিয়েছি। এই ভ্যাকসিন কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে। এগুলো আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে।

‘এই ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হয়েছে চীনে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিশ্বের পাঁচটি দেশের ৫৫ হাজার মানুষের ওপর হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি এ ভ্যাকসিনের সব নথিপত্র যাচাই করেছে।’

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাদের যে কমিটি আছে, সেই কমিটি এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা আজ চীনের সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছি।


ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা দেখব এই ভ্যাকসিনের সেইফটি এবং অ্যাফিকেসি কেমন। এরপর গণটিকাদান কার্যক্রমে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের ব্যবহার করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, আমরা আজ ইমার্জেন্সি অথোরাইজেশনের ভিত্তিতে বা জরুরি ব্যবহারে জন্য অনুমোদন দিয়েছি রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি। তবে সরকার আরও ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। আমরা আরও বিকল্প চিন্তা করছি। এরপর সিনোফার্মও আমাদের অ্যাকটিভ কনফার্মেশনে আছে।

তিনি বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজন এখন ভ্যাকসিন। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও স্পুটনিক, সিনোফার্ম, মর্ডানার ভ্যাকসিন নিয়েও সরকার চেষ্টা করছে। আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। একের পর এক ভ্যাকসিন আসতেই থাকবে। আমরা একটি, দুটি অথবা তিনটিতে সীমাবদ্ধ থাকব না। আমাদের বহুসংখ্যক ভ্যাকসিন আসবে। তবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলবে সরকারিভাবে। বেসরকারিভাবে এখনও কোনো ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা নেই।

‘পর্যায়ক্রমে যেসব ভ্যাকসিন আসবে, আমাদের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটি সেগুলো মূল্যায়ন করবে। সেখানে যদি আমাদের দেশের জন্য সবদিক দিয়ে উপযুক্ত বলে তারা মনে করেন তাহলে ইমার্জেন্সি অথোরাইজেশন দেওয়া হবে।’

কালের আলো/এসজে/এমএম