ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নগরপিতা
প্রকাশিতঃ 12:03 pm | June 28, 2018

কালের আলো, গাজীপুর:
প্রায় পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল নৌকায় উঠেছে। সদ্যসমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম। স্কুলজীবন থেকেই সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিতভাষী তিনি। দশম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অদম্য ইচ্ছা তার দৃষ্টিতে জ্বলজ্বল করত।
গাজীপুরের চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় থেকে সফলতার সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন জেলার ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সততা, যোগ্যতা ও পরিশ্রমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জাহাঙ্গীর আলম খুব অল্প সময়ে পরিচিতি পেয়ে যান। ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্র থাকাকালে ছাত্রদের বিভিন্ন ন্যায্য দাবি আদায় আন্দোলনে তিনি প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এলএলবি এবং ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে গাজীপুর মহানগর প্রতিষ্ঠার পর জনপ্রিয়তাই তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ উপহার দেয়। গাজীপুর মহানগরে একাট্টা আওয়ামী লীগ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গেল মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ২ লাখেরও বেশি ভোটে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মহানগরে জাহাঙ্গীর আলম শুধু একটি নামই নয়, তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে ‘আইকন’ হিসেবে এরই মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সংগ্রামী এক জীবনযুদ্ধে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আজ তিনি সফলতার উচ্চ শিখরে। সিটির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের হিসাবে ৪১৬ কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোট ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৯। ভোট বাতিল হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৮টি। বৈধ ভোট ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১১। ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে নয়টি কেন্দ্র স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে রয়েছে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৩ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক এম এ মান্নান।
এবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে (অধ্যাপক এম এ মান্নান) বাদ দিয়ে বিএনপি প্রার্থী করে প্রবীণ নেতা হাসান সরকারকে।
কালের আলো/ওএইচ