সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিতঃ 6:33 pm | June 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এজন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন: সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রোববার(১৬ জুন) ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচন পর্ষদ-২০১৯ এর সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্ব ও পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সততা ও আনুগত্য বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতি দিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯টি অভ্যুত্থানের ঘটনা তুলে ধরেন।
১৯৮১ সালে নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন দেশে ফিরলাম তখন বলেছিলাম এই আত্মঘাতি অবস্থা আমরা চাই না। দেশের সর্বক্ষেত্রে শান্তি চাই। মনোবল ছিল দেশে ফিরেছিলাম। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আমার মূল শক্তি।

বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের একটা অর্জন।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর করা প্রতিরক্ষা নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দূরদৃষ্টি ছিল। দেশের সেনাবাহিনী কেমন হবে সেই চিন্তাতেই তিনি নীতিমালা তৈরি করেছিলেন।
ফোর্সেস গোল ২০৩০ ওই নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় দেশের বিভিন্নখাতে উন্নয়ন চিত্র তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলে থাকার সময়ই তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। কোন খাতে কি ধরনের উন্নয়ন করা হবে পরিকল্পনাতে সেসব বিষয় ছিল।

আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে দশমিক ২০ ভাগ হবে। পরবর্তীতে দুই অংকে নিয়ে যাব।
মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি যখন বাড়ে তখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে তার সুফল পায় সাধারণ মানুষ। মানুষ ধীরে ধীরে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অগ্রগামী। এবারের ওআইসি সম্মেলনে আমাদের নারীর ক্ষমতায়নের মূল্যায়ন হয়েছে এবং প্রশংসা করেছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে সেনাসদরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/আরএম/এমএইচএ