বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারত্ব চুক্তির দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিতঃ 10:24 am | July 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) সইয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এ আলোচনা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলোচনায় অংশ নিচ্ছে দুই পক্ষের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। আর ইইউর পক্ষে রয়েছেন বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি।

এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ইইউর সঙ্গে একটি বিস্তৃত ও বাধ্যতামূলক কাঠামোয় যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ব্রাসেলসে প্রথম দফার আলোচনা হয়েছিল।

দুই পক্ষ এবার ৮৩টি ধারার একটি খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। এসব ধারায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকার, সুশাসন, শ্রম অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা, কৃষি, জ্বালানি, দক্ষ অভিবাসনসহ ৩৫টি খাতে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

২০০১ সালে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি হয়েছিল, যার মূল ফোকাস ছিল উন্নয়ন সহযোগিতা। নতুন পিসিএর মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে আনতে চায় দুই পক্ষ।

পিসিএ মূলত একটি আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি। ইইউর মতে, এটি রাজনৈতিক সংলাপ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, মানবাধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তাসহ নানা খাতে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইইউ এ ধরনের পিসিএ চুক্তি করেছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও কাজাখস্তানের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে চুক্তির খাত ছিল ১৩ থেকে ১৯টি। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত পিসিএতে অন্তর্ভুক্ত খাত ৩৫টি।

২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে শেখ হাসিনা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের উপস্থিতিতে এই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর ঘোষণা আসে।

প্রথম দফার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি স্থগিত করে ইইউ। পরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয় নভেম্বরে।

চলমান আলোচনা সফল হলে আগামী অক্টোবর মাসে ঢাকায় বসবে তৃতীয় দফার বৈঠক। সেখানে অংশ নিতে ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।

এ চুক্তি কার্যকর হলে আগের ২০০১ সালের সহযোগিতা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন কাঠামোয় ঢুকবে।

কালের আলো/এএএন