মগবাজারে ৩ মৃত্যু: স্বজন রফিকুল ২ দিনের রিমান্ড

প্রকাশিতঃ 5:36 pm | July 01, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকার মগবাজারে আবাসিক হোটেল থেকে এক সৌদি প্রবাসী ও তার স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাদের স্বজন রফিকুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আলম।

আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই জালাল উদ্দিন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

আদালতের রমনা মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধ কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী বলেন, শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গত রোববার মগবাজারের আবাসিক হোটেল ‘সুইট স্লিপ’ থেকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে সৌদি প্রবাসী মনির হেসেন (৪৮), তার স্ত্রী নাসরিন আকতার স্বপ্না (৩৮) ও তাদের সন্তান আরাফাতকে (১৮) ‍মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে।

ঘটনার দুইদিন পর মঙ্গলবার রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন ওই প্রবাসীর ভাই নুরুল আমিন। ইতালি প্রবাসী নুরুল মামলায় বলেছেন, আসামি রফিকুল ইসলাম তাদের চাচাত চাচা, যিনি কেরাণীগঞ্জে মনিরের দুই বাড়ি দেখভাল করতেন।

এজাহারে বলা হয়, কোরবানির ঈদের আগে মনির হোসেন গ্রামে আসেন। তিনি দেশে আসার পর জমিজমা ও টাকা পয়সার হিসাব নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে ২৮ জুন ছেলের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকায় আসেন মনির । তারাসহ ঢাকায় অবস্থান করা চাচা রফিকুল ইসলাম নিউ ইস্কাটন রোডের এসপিআরসি হাসপাতালে যান।

ওইদিন চিকিৎসকের সিরিয়াল না পেয়ে মনির স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মগবাজারের ‘সুইট স্লিপ’ হোটেলে ওঠেন। বিকালে পাশের ‘ভর্তা ভাত’ হোটেলে গিয়ে খাবার খান মনির ও রফিকুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মনিরের স্ত্রী ও সন্তানের জন্য খাবার নিয়ে হোটেল কক্ষে যান রফিকুল। এরপর রফিকুল তার বাসায় চলে যান।

মামলায় বলা হয়েছে, চাচা রফিকুলের আনা খাবার মনির ও তার পরিবার খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তারা বমি করতে থাকেন, তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বাদী নুরুল বলেছেন, “আত্মীয়-স্বজনদের নিকট শুনে আমার ধারণা হয় যে, আমার ভাইয়ের সম্পত্তি আত্নসাৎ করার জন্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পনা করে তারা (মনির ও তার স্ত্রী-সন্তাস) হোটেলে অবস্থানকালীন তাদের খাবারের সাথে বিষ বা বিষ জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে অথবা অন্য কোনো উপায়ে তাদের হত্যা করেছে।”

কালের আলো/এএএন