ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে পোশাক শিল্প অস্থিতিশীল করা হয়েছে: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব
প্রকাশিতঃ 5:20 pm | September 12, 2024

জেলা প্রতিনিধি, কালের আলো:
ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টঙ্গীর শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাইরের প্রতিযোগি দেশের ইন্ধন ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর বহু শিল্প মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এ কারণে সেসব ফ্যাক্টরিতে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না। যে কারণে অসন্তোষ থামছে না। শ্রমিক কখনও তার কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না, বাইরের অপশক্তিতে এসব হচ্ছে।
এর আগে গতকাল চক্রবর্তী এলাকায় একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয় ৫ টি কারখানায়। গোয়েন্দা তথ্যের কথা উল্লেখ করে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, স্থানীয়ভাবে ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্বে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে, এ কারণে শিল্প নগরীতে অসন্তোষ কাটছে না।
তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশ শ্রমিক অধিকার ১০০-তে ১০০ নিশ্চিত করতে পারেনি। আমাদের এখানে রাতারাতি সব সমস্যা সমাধান সম্ভব না। শ্রমিকদের অনেক দাবি যৌক্তিক, মালিকরা চাইলে পূরণ করতে পারেন। আবার কিছু দাবি এখনই বাস্তবায়ন যৌক্তিক না। ন্যূনতম মজুরি এখনই দ্বিগুন করার দাবি বাস্তবসম্মত কিনা, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, শিল্প মালিকদের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি। শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সঙ্কট নিরসনে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসময় শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে সঙ্কট নিরসনে টাস্কফোর্স গঠন দাবি করা হয়।
সম্মেলনে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক তরিকুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক আব্দুর রহিম খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে টঙ্গী এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানায় কর্ম পরিবেশ প্রদক্ষিণ করেন শ্রম সচিব।
আয়োজকরা জানিয়েছে, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বৃহস্পতিবার গাজীপুরে ৮ টি সহ সাভার-আশুলিয়ায় আরও ১০৮টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ