বড় জয়ের পথে বাংলাদেশ, বোলিং তোপে কাঁপছে পাপুয়া নিউগিনি
প্রকাশিতঃ 7:05 pm | October 21, 2021

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:
শেষ দুই বছরে টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ডট আদায় করেছে ৫২ শতাংশ বলে। সে ধারাটা ধরে রাখলেন সাকিব-সাইফউদ্দিনরা। সঙ্গে দারুণ বোলিং ফিল্ডিংয়ে আদায় করে নিলেন উইকেটও। তাতেই পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশ চলে এসেছে চালকের আসনে।
তৃতীয় ওভারে প্রতিপক্ষের ওপেনারকে নিজের শিকার বানিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাপুয়া নিউগিনি, সিয়াকা করেন ১০ বলে ৫ রান। এর পর আসাদ ভালার উইকেট তুলে নেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ধস নামান। তাই ব্যাটিংয়ে নাকাল অবস্থা পাপুয়া নিউগিনির। তাদের এমন অবস্থা হয়েছে অল্প রানেই গুটিয়ে যেতে পারে। বড় জয় দেখছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ।
অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ নাঈম। তবে নাঈমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উপরে ওঠা বল জমাতে পারেননি পাপুয়া নিউগিনির উইকেটরক্ষক। দ্বিতীয় বলেও ছক্কার আশায় ক্যাচ তুলে দেন নাঈম। কাবুয়া মোরেয়ার লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠান নাঈম। বেশ উপরে ওঠা বল দৌড়ে গিয়ে মুঠোয় জমান সেসে বাউ। রানের খাতাও খুলতে পারেননি এই তরুণ ওপেনার।
শুরুতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চাপ অল্প সময়ের মধ্যেই কাটিয়ে ওঠে। শুরুর থাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দুজনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। সাকিবের সঙ্গে ভালো ইনিংস খেলার আশা জাগান রানের খরায় থাকা লিটন। তবে এবারও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। স্লগ সুইপে ছক্কার হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেন ডানহাতি এই ওপেনার।
অষ্টম ওভারে আসাদ ভালার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল স্লগ সুইপ করেন লিটন। টাইমিং ঠিক রাখতে পারেননি। দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ নিয়ে নেন সেসে বাউ। ২৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ রান করে ফেরেন লিটন।
চারে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকও পারলেন না থিতু হতে। ৮ বল খেলে ৫ রানে বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে সতীর্থরা ফিরলেও টিকে ছিলেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন তিনি। শেষ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন আসাদ ভালা। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লং অনে আমিনির হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। তিন ছক্কায় ৩৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।
এরপর লড়াই করেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। এটি তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি। ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির পর অবশ্য আর টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলেই আউট হন তিনি। ২৮ বলে ৫০ রান করে ফেরেন ড্রেসিং রুমে। মাহমুদউল্লাহ ফিরলে শেষ দিকের ব্যাটারদের ওপর ভর করে ওমানকে বড় কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় লাল-সবুজের দল।
কালের আলো/এসবি/এমএম