বিশ্বের শীর্ষ নারী নেত্রীদের তালিকায় শেখ হাসিনা

প্রকাশিতঃ 7:53 pm | September 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আরও একবার বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশ ও নিজের নাম যুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী নেতৃত্বের নতুন দৃষ্টান্ত, দেখিয়ে দিলেন পুরো বিশ্বকে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংস্থা উইকিলিকসের জরিপের এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া।

এতে বলা হয়, শক্তিশালী নেতৃত্ব, দক্ষতা আর দুরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিশ্বে নারী পুনরুত্থানের প্রতীকও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীলংকার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে দেন শেখ হাসিনা। নারী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে রাজনৈতিক চিন্তাধারা, দুরদর্শিতা সঙ্গে যুক্ত করেছেন মানবতাকে। টানা তৃতীয়বারসহ চারবার বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর ৭ বছর সরকারে ছিল না দলটি। ২০০৮ এ আবারও ক্ষমতায় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পূর্ণ করেছেন ১৫ বছর। চতুর্থ দফায় সরকারে থাকার পালা এখনও বাকি।

সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, নারী হিসেবে শেখ হাসিনার মতো এতো দীর্ঘ সময় আধিপত্য নিয়ে আর কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন না। তার এই প্রাপ্তি নারী নেতৃত্বে নতুন দিক নির্দেশনার পাশাপাশি দেশকেও নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

থ্যাচার ৪ মে, ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ বছর ২০৮ দিন ব্রিটেনের শাসক ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীও বিভিন্ন মেয়াদে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছে। শ্রীলঙ্কা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেব সর্বমোট ১১ বছর ৭ দিন শাসন করেছেন।

নারী শাসকগণের মধ্যে মাত্র চারজন শাসকই বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের নাম ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। তারা হলেন- ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও শেখ হাসিনা। তারা সবাই নিজের দেশকে একটি নতুন সম্ভবনার দুয়ারে নিয়ে গেছেন।

চতুর্থবার ক্ষমতায় আরোহনের পর শেখ হাসিনা বিশ্বে সুপরিচিত অন্যান্য নারী নেতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিক্রম করে গেছেন।

গেল কয়েক বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক-অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০০ ডলারে, যা কয়েকবছর আগেও ছিল হাজার ডলারের নিচে।

তার আমলে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। ২০১৮ সালে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করছে। যেটি তার সরকারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কারণে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা এখন দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বর্তমান বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের উদহারণ হিসেবে সারা বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে।

বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সেবার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বহু পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।

কালের আলো/এনএল/এমএইচএ