প্রধানমন্ত্রীর পাশে মুহিত

প্রকাশিতঃ 5:28 pm | June 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অসুস্থতার কারণে পুরো বাজেট বক্তৃতা করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাঁর অনুরোধে বাজেটের বাকী অংশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর বাজেট পেশের পরদিন রীতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে এ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।

তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেছেন। এ বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে।

দেশের ৪৯ তম বাজেট অধিবেশনে রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত যোগ দেন। ১২টি বাজেট পাস করার কৃতিত্ব অর্জনকারী সাবেক এ অর্থমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে এসেছিলেন ৩ টা ৫৬ মিনিটে।

সংবাদ সম্মেলনের দিনেও যথারীতি উপস্থিত আছেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশেই আসন গ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এমপি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া মঞ্চে রয়েছেন।

অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন। শুরুতেই তিনি জানান, অসুস্থতার কারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি অর্থমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

পরে অর্থসচিব বলেন, অসুস্থতার কারণে অর্থমন্ত্রী গতকাল (বৃহ্স্পতিবার) বাজেট বক্তৃতা শেষ করতে পারেননি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন। এটি বাংলাদেশের সংসদে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। মূল বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।

এবারের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ শতাংশ। এনবিআর বর্হিভূত রাজস্ব আয় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। আর কর বর্হিভূত রাজস্ব আয় ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা । এটি জিডিপির ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

এছাড়া আসছে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এছাড়া বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

কালের আলো/এনএ/এমএম

Print Friendly, PDF & Email