সামিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
প্রকাশিতঃ 11:04 pm | June 13, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পুলিশ। সামিউল সম্প্রতি জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত সরকার বিরোধী একটি প্রতিবেদনের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়।
রোববার (১৩ জুন) ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক আফসার আহম্মদ।
অপর আসামিরা হলেন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, ফিলিপ শুমাখার।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিলো। সেই অভিযোগপত্রে আটজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) ওপর নারাজি দেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন নারাজি গ্রহণ করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ সিপিসি-১-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামে ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, সামিউল, শাহেদ ও আসিফের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’র প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণও পাওয়া যায়।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল