আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার
প্রকাশিতঃ 7:14 pm | July 04, 2025

রংপুর প্রতিবেদক, কালের আলো:
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, রংপুরের জনগণ কেউ বলতে পারবে না যে আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধী বানানো হলো। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তারাও কিন্তু পরবর্তীতে বলেছেন আমাদের জোর-জুলুম করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমার কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নাই, দুঃখ নাই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াত এ জনসভার আয়োজন করে।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবো, এটা কোনো সময় চিন্তায় আসেনি। আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া ওকউ জানতো না। আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পড়ানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পড়ানো হলো। আমার ফাঁসি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত স্বাক্ষী যোগাড় করা হয়েছিল, তাদের মাধ্যমেই তো স্বাক্ষী দিয়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ। যার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। ৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন। আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছে। তার মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই জনসভা বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পরই জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠ। লোকসমাগম মাঠ ছেড়ে উপচে পড়ে সড়কে। জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
কালের আলো/এমডিএইচ