টাঙ্গাইলে প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ

প্রকাশিতঃ 6:30 pm | September 05, 2018

জেলা প্রতিবেদক, কালের আলো:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রেমিকাকে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তরুনীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনা উপজেলার মহিষমারা গ্রামে। ওই তরুনী হিষমারা গ্রামের সুনামগঞ্জ (গারোবাজার) পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

জানাযায়, মধুপুর উপজেলার মহিষমারা (মন্ডলপাড়া) গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আরিফ হোসেনের (২০) সঙ্গে তিন বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এরই সুত্র ধরে গত ১৫ আগস্ট প্রেমিক ঝুঁটি ডেটিং করতে একই গ্রামে জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করলে স্থানীয় আয়েন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) দেখে ফেলে প্রেমিককে গাছের সাথে বেঁধে মেয়েটিকে আকাশমনি বাগানে নিয়ে উড়না দিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক উভয়ে ধর্ষণ করে। তিনজনে ধর্ষণ করার সময় তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছে বলে জানান ধর্ষিতা ওই মেয়ে।

গণধর্ষণের পর ওই স্কুল ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষণকরা পালিয়ে যায়।
পরে ওই স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে মুখের বাঁধন খুলে ডাকচিৎকার করতে থাকে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা মেয়ের কাছে ঘটনা শুনে মামলা করার উদ্যোগ নিলে ধর্ষকদের প্ররোচনায় স্থানীয় কতিপয় মাতাব্বর ওই স্কুলছাত্রীর বাবাকে মামলা না করতে হুমকি দেন। মামলা করার পরও তারা মেয়েটির বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন জানান মামলার বাদী হাশমত আলী।

স্থানীয় ইউ.পি সদস্য মুসলিম উদ্দিন জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর রোববার মেয়েটির বাবা আমার বাড়িতে এসে ছেলে-মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে জানান। পরে উভয়ের অভিবাবককে সাথে স্থানীয় মাতব্বর মহিষমারা গ্রামের হায়দার আলী,হযরত আলী,হায়েত আলী,আব্দুল আজিজ, আইজ উদ্দিন,ইদ্রিস আলীর আলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরেরদির শোনতে পাই মেয়েটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু ছেলের বাবা হযরত আলী বিয়েতে রাজী না থাকায় মামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।

কালের আলো/জেপ্র/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email