গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, ১২ বিষয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিতঃ 6:38 pm | July 10, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। গণমাধ্যম সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই অধ্যাদেশ জারি করা হবে। সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পত্রিকার বিজ্ঞাপন হার যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হবে।

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, গণমাধ্যম সম্পর্কে শ্রোতা, দর্শক ও পাঠকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে বার্ষিক জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, বিজ্ঞাপন শিল্পে কোনও ধরনের যোগসাজশ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিপন্থি কৌশল চর্চা হচ্ছে কী না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এফএম রেডিও লাইসেন্সের বিপরীতে জামানত ফি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া, এফএম রেডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে রেডিও কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত হারে ফি দিতে করতে হবে। বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ২ শতাংশ সরকারি ফি হিসেবে যেটা কেটে নেওয়া হয়, তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, সরকারি ঘোষণা বিনামূল্যে প্রচার করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গণমাধ্যমের কলাম লেখক, প্রদায়ক, শিল্পী ও অতিথি উপস্থাপক বা আলোচকদের সম্মানির ওপর অগ্রিম কর রহিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিশনের সুপারিশের আলোকে টেলিভিশন চ্যানেলের আপ-লিংক এবং ডাউন-লিংকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যধারা যুগোপযোগীকরণসহ প্রতিষ্ঠান দুটির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়েও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কালের আলো/এমএএইচএন