প্রধানমন্ত্রী চাইলেও তথ্যমন্ত্রী হননি ওবায়দুল কাদের!

প্রকাশিতঃ 1:58 am | September 05, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে মন্ত্রীত্ব পান ওবায়দুল কাদের। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাধে তুলে দিতে চেয়েছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু কাদের বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন মন্ত্রণালয়ের দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

পরদিন প্রধানমন্ত্রী তাকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব দিলে ওবায়দুল কাদের রাজি হয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেন।

এরপরের দিনই রাস্তায় নেমে যান। যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের বদলে সড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের এই বিষয়টি দীর্ঘ সময় পর সংবাদ কর্মীদের কাছে তুলে ধরেছেন সড়ক মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান তিনি।

স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছি। তখনও আমাদের পোর্টফোলিও ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, ‘আমি তো তোমাকে ইনফরমেশন মিনিস্ট্রি দিতে চাই। তোমার কী মত।’

ওইদিন বলেছি, কয়েকদিন পর তো ইলেকশন। আপনি আমাকে এমন একটি দায়িত্ব দিন, যেখানে ডেভেলপমেন্ট করা যায়, যে ডেভেলপমেন্ট মানুষের কাজে আসে এবং তা তাদের দেখানো যায়। ইনফরমেশন তো বক্তৃতা করা। তা তো আমি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে করেই যাচ্ছি। ওইদিন রাতে চলে এলাম।

পরদিন খুব ভোরে প্রধানমন্ত্রী আমাকে রেড ফোনে কল দিয়ে বললেন, ‘তুমি তো ইনফরমেশন নিতে চাচ্ছো না, তাহলে কমিউনিকেশন পারবে?’ আমি বললাম, আপনার ছায়া থাকলে পারবো। আমি চেষ্টা করবো। তিনি আমাকে দায়িত্ব দিলেন। এরপর দিনই (০৫ ডিসেম্বর) আমি মন্ত্রী হিসেবে রাস্তায় নামি। সেদিন ছিল খুব কুয়াশা। সেই থেকেই তো আমি রাস্তায় আছি।’

দৃঢ়তার সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘একসময় ছিল, যখন বলা হতো, যদি মরতে চাও, তাহলে আরিচা সড়কে যাও। আজ কিন্তু আরিচা সড়কে দুর্ঘটনা নেই। মাত্র ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাগুলো সোজা করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাত্র তিনটি ব্রিজের কাজ শেষ হলে ওখানে আর কোনও ঝামেলা থাকবে না।’

সড়কে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার বাহন সম্পর্কে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার বাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করেছি, তা বলবো না, কোনোটায় ৯০ শতাংশ, কোনোটায় ৮০ শতাংশ, কোনোটায় ৭০ শতাংশ, আবার কোনোটায় ৬০ শতাংশ সাকসেস হয়েছি।

পুরোপুরি সাকসেসফুল হওয়া যেতো। যদি জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা করতো। আমাদের দেশের বহু পলিটিশিয়ান এর পেছনে রয়েছেন। আমরা অর্ডার দেই, এগুলো চলবে না। আর অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তারা এসব ছোট ছোট যানবাহনকে মহাসড়কে চলতে দেন।’

কালের আলো/এসএ/এএ