করোনা চিকিৎসায় সমন্বয়হীনতা
প্রকাশিতঃ 9:04 am | June 30, 2020

প্রভাষ আমিন:
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন এক হাজার ৭৩৮ জন। প্রত্যেকটি মানুষের মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তবু উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার কমই বলতে হবে। বাংলাদেশে মৃত্যুহার এক দশমিক দুই ভাগের মতো। বিশ্বে যেটা প্রায় পাঁচ শতাংশ। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে টেস্ট করা হয়নি। তাই সংক্রমণের হিসাবটা সঠিক নয়, সঠিক নয় মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনার লক্ষণ নিয়েও অনেকে মারা গেছেন, যাদের টেস্ট করা হয়নি, তাই করোনার তালিকায় তারা ঠাঁই পাননি। এই অভিযোগ সত্য হলেও বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা এবং হার উন্নত বিশ্বের তুলনায় আসলেই কম। এই সংখ্যাটা আমরা আরও কমিয়ে রাখতে পারতাম।
যদি করোনার প্রস্তুতির জন্য পাওয়া অতি ৬৯টি দিন আমরা সুষ্ঠু পরিকল্পনায় ব্যয় করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কিছুই করিনি। তাই করোনার প্রথম স্রোতেই ভেসে গেল আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে ভঙ্গুর এটা সবাই জানে। কিন্তু কতটা ভঙ্গুর সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে সেরা সব ডাক্তার আছেন। তারপরও মানুষ ভরসা পায় না। করোনার আগে মানুষ কিছু হলেই দেশের বাইরে ছুটত। যাদের সামর্থ্য আছে তারা যেত ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর। যাদের কম তারা যেত ভারত। এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্তরাও ট্রেনে-বাসে করে কলকাতা চলে যেত। সবারই অভিজ্ঞতা হলো, চিকিৎসা যেমনই হোক, বিদেশে টাকা তুলনামূলক কম লাগে, তারচেয়ে বড় কথা হলো, ভোগান্তি অনেক কম। কিন্তু করোনায় সবকিছু আটকে যাওয়ার পর সবাইকে যখন দেশেই চিকিৎসা নিতে হলো, তখনই সব ভেঙে তছনছ। তরুণ ডাক্তাররা জান দিয়ে খাটছেন বটে, কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার চরম অবস্থা চলছে। কেউ কেউ বলেন ব্যবস্থাপনা থাকলেই না অব্যবস্থাপনার প্রশ্ন।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে সরকার নির্ধারিত কয়েকটি হাসপাতালেই শুধু কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হতো। তখন পাঁচ-সাতটি হাসপাতালে ঘুরেও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। একটা সময় ছিল মানুষের চিকিৎসা পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব ছিল। কোভিড না নন কোভিড- এই টানাহেঁচড়ায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেছেন, এমন ঘটনাও কম নয়। করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া অনেক হাসপাতালই রোগীদের ভর্তি করত না। রোগীর চাপ সামলাতে এক পর্যায়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতা কাটেনি।
কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া বেশ জটিল। প্রথম কথা হলো কোভিড রোগীদের সঙ্গে যৌক্তিক কারণেই কাউকে থাকতে দেয়া হয় না। কিন্তু কাউকে থাকতে দেয়া না হলে রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার দায়িত্ব তো সেই হাসপাতালেরই। কিন্তু কোভিড হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানে যথাযথ সেবা তো মেলেই না, চিকিৎসাও মেলে না। ডাক্তারের চেহারা দেখা যায় না, নার্সরা দরজার ওপাশ থেকে ওষুধ ছুঁড়ে দিয়ে চলে যান। এমনিতেই অসুস্থ, আতঙ্কিত একজন মানুষের যখন চিকিৎসা দরকার, সেবা দরকার, মমতা দরকার; তখনই তাকে থাকতে হয় চরম অমানবিক পরিবেশে স্বজনহীন অবস্থায় একা। মৃত্যুর আগে কোনো স্বজনের চেহারাটাও দেখতে পান না সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া কোভিড রোগীদের অনেকে। অনেকের মৃত্যুসংবাদ তার পরিবার জেনেছে একমাস পর। সরকারি কোভিড হাসপাতাল যেন কনডেম সেল, মৃত্যুর আগে নিঃসঙ্গ সেলে থাকা।
সরকারি কোভিড হাসপাতাল থেকে রোগীর পালিয়ে যাওয়া, পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। একটি সরকারি কোভিড হাসপাতালের পরিচালক সব অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ডাক্তার-নার্সের স্বল্পতা তো আছেই। তিনি ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে- একটি ওয়ার্ডে যদি ২০ জন রোগী থাকে, যাদের মধ্যে ১৮ জন সাধারণ, ২ জনের অবস্থা জটিল। এখন সেই ওয়ার্ডে থাকা ২ জন ডাক্তার কিন্তু জটিল দুই রোগীর পেছনেই সময় দেবেন। সাধারণ বাকি ১৮ রোগীর কাছে যাওয়ার সময়ই পাবেন না তারা। এখন এই ওয়ার্ডের ১৮ রোগীই বলবে, তারা ডাক্তারের দেখা পাননি, যেটা সত্যি। আবার জটিল দুই রোগী যদি বেঁচে যান, তারা বলবেন, ডাক্তাররা ফেরেশতার মতো। তাই সাধারণভাবে রোগীদের অভিযোগ সত্যি এবং বাস্তবতা। তাছাড়া ডাক্তার-নার্সেরও জীবনের মায়া আছে, তারা রোগীর কাছে যেতে চায় না। তবুও শত অব্যবস্থা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যা করে যাচ্ছেন, হাজার কৃতজ্ঞতাতেও তার দায় শোধ হবে না। কিন্তু ব্যক্তির আন্তরিকতা আর পরিশ্রম দিয়ে তো আর সিস্টেমের গলদ ঠিক করা যায় না।
মে মাসের শেষ দিকে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও তাদের পুরোপুরি তৈরি হতে কিছুটা সময় লেগে যায়। কিন্তু তৈরি যখন হলো, তখন দেখা যাচ্ছে, তারা রোগীর গলাকাটার জন্য করাত নিয়ে বসে আছে। কোভিড-১৯ এর রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার-নার্সদের বাড়তি বেতন দিতে হয়। এছাড়া প্রস্তুতিতেও বাড়তি ব্যয় হয়। সবই ঠিক আছে। খরচ হয়তো বেড়েছে ১০ টাকা, কিন্তু চিকিৎসা ব্যয় তারা বাড়িয়েছেন ৫০ টাকা। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালেও যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া, সেবা না পাওয়ার অভিযোগ আছে এন্তার। স্বজনরা ভর্তি রোগীর খবর জানতে হন্যে হয়ে ধরনা দেন হাসপাতালে। কোথাও কোথাও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ফারাক ঘুচে যায়। এই যখন অবস্থা, মানুষ যাবেটা কোথায়?
এতদিন হাসপাতালে সিট পাওয়া নিয়ে হাহাকার ছিল। এখন পত্রিকায় খবর দেখছি কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত বেশিরভাগ আসনই খালি। মানুষ কি তবে ভয়ে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে? এই প্রশ্ন আসছে, কারণ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাহলে হাসপাতালে সিট খালি থাকে কীভাবে? সপ্তাহ দুয়েক আগে এক কোভিড রোগীর জন্য হাসপাতালে সিট ম্যানেজ করতে আমার মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। গত মাসে সময়মতো আইউসিইউ পাওয়া যায়নি বলে বাঁচানো যায়নি বারডেম হাসপাতালের পরিচালক কবি ফরিদ কবির এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের মাকে। অথচ এখন নাকি কোভিড রোগীর আইসিইউ বেশিরভাগই খালি।
বাংলাদেশে এখন কোনো স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন নাকি নেই, সেটা বোঝা মুশকিল। কাগজে কলমে যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনি নাকি অফিসেই যান না। মন্ত্রী যান না বলে মন্ত্রণালয়েও নেই প্রাণচাঞ্চল্য। অথচ এই সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার কথা তুমুল ব্যস্ততা, তাদের দম ফেলার সময় থাকার কথা না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হওয়ার কথা করোনা লড়াইয়ের কমান্ডার। উল্টো নিধিরাম সর্দার হয়ে গেলেও জাহিদ মালেক মাঝে মাঝে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চান। গত সপ্তাহে চীন থেকে আসা করোনা বিশেষজ্ঞ দলকে বিদায় জানাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সেখানে তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, এভাবে সংক্রমণ হতে থাকলে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হবে। তবে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতো হাল ছেড়ে দিতে রাজি নই। সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকলে সব রোগীরই চিকিৎসা দেয়া এবং মৃত্যুহারও অনেক কমিয়ে রাখা সম্ভব।
প্রথম কথা হলো, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের দুই ধরনের অমানবিকতাই দূর করতে হবে, অন্তত একটি সহনশীল মাত্রায় রাখতে হবে। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে আরও মানবিক আচরণ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর বেসরকারি হাসপাতালের বিল যাতে মানবিক মাত্রায় থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য চাহিদা নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় অংশ সাময়িক অধিগ্রহণ করা। প্রয়োজনে হাসপাতালগুলোর পরিচালন ব্যয় সরকার বহন করবে। লাভক্ষতির হিসাব না করে, মানবিক দৃষ্টিতে যেন চিকিৎসাসেবা দেয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করাই এখন সবার প্রাথমিক দায়িত্ব।
তাছাড়া ঢাকার অনেকগুলো বড় সরকারি হাসপাতালে এখনও কোভিড রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। বিএসএমএমইউ, বক্ষব্যাধি, শিশু, ইএনটি বা নিউরো হাসপাতালের মতো বড় হাসপাতালগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সময়মতো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারলে মৃত্যুহারও অনেক কমিয়ে রাখা সম্ভব। কারণ কোভিড রোগীদের বেশিরভাগই অক্সিজেন ঘাটতির কারণে মৃত্যুঝুঁকিতে চলে যায়; তখন আইসিইউ, লাইফ সাপোর্ট দিয়েও তাকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যায়। অথচ সময়মতো ভালো অক্সিজেন পেলে সেই রোগীর অবস্থার আর অবনতি নাও হতে পারে। তাই সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যেখানেই হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে, তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে হবে। আগে মানুষের জীবন বাঁচান, ব্যবসা পরেও করা যাবে।
তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে বড় হয়রানি হলো পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি। কোথায় কোন হাসপাতাল সিট খালি আছে, কোন হাসপাতালে আইসিইউ আছে সেটা সাধারণ মানুষ কীভাবে জানবে? তাই হয়তো মুগদা হাসপাতালে আইসিউই খালি আাছে। কিন্তু একজন রোগী মুগদা ছাড়া বাকি সাতটি হাসপাতালে ঘুরেও আইউসিইউ না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মরে গেল। আর এই সময়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একের পর এক হাসপাতালে ঘোরাও কোনো কাজের কথা নয়, সম্ভবও নয়। তাই কোথায় আসন বা আইসিইউ খালি আছে, সেই তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান করে তুলতে হবে। ৯৯৯-এর মতো কোনো একটা দক্ষ সাময়িক সেবা তৈরি করতে হবে। আমার ধারণা সময়মতো হাসপাতাল এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারলে মৃত্যু অনেক কমিয়ে রাখা সম্ভব। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, আন্তরিক চেষ্টা আর মানবিক অ্যাপ্রোচেই পরিস্থিতি পাল্টে দেয়া সম্ভব। খালি সীমিত সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তবে যেকোনো ধরনের অবহেলা বা অমানবিকতা বা গলাকাটা বিলের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুরু থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনেক কড়া কড়া প্রজ্ঞাপন প্রসব করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রোগীরা কেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে। আনোয়ার খান মডার্ন বা স্কয়ারের মতো হাসপাতালের অস্বাভাবিক ভৌতিক বিল নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেন সব জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। এই জরুরি সময়ে অযথা কঠোর হওয়াটা যেমন অপ্রয়োজনীয়; তেমনি সবাইকে লাগামহীন ছেড়ে দেয়াটাও অযৌক্তিক। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই তাদের বিলের ব্যাখ্যা দিতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
আরেকটা খুবই জরুরি বিষয়, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই স্বজনদের জন্য চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর শারীরিক অবস্থার নিয়মিত আপডেট জানানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে থাকা রোগীর যন্ত্রণার চেয়ে বাইরে থাকা কোনো খবর না পাওয়া উদ্বেগাকুল স্বজনের বেদনাও কম নয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার আমরা ঠেকাতে পারিনি। কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীরা যেন প্রয়োজনীয় সেবা পায়। মৃত্যুর আগে যেন চিকিৎসাটা পায়, শেষ সময়ে যেন কপালে ডাক্তার-নার্স বা কোনো স্বাস্থ্যকর্মীর মমতার পরশটুকু পায়।
২৯ জুন, ২০২০