ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলাকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ ঘোষণা
প্রকাশিতঃ 5:14 pm | May 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানী প্রতিরোধে গঠিত ব্রিগেড কর্মীদের ব্যাপক সফলতায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলাকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ ঘোষণা করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
বুধবার সকালে ত্রিশাল নজরুল একাডেমী মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ব্রিগেড গত ৬ মাসে ৬৮টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করছে। ব্রিগেডের তৎপরতায় বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা’ অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সহধর্মীনী রাজিয়া সুলতানা, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ^াস, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লোকমান হোসেন, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন।
বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ব্রিগেডের প্রশংসা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, বাল্য বিবাহ মুক্ত আজকের এই ত্রিশাল উপজেলা বিগ্রেড সদস্যদের শ্রমের ফসল। এরা শুধুমাত্র ত্রিশালের নয় সারাদেশের সকল মেয়েদের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে, মনোবল বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিগ্রেডের এ ধারনাটি দেশের সব উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে আর এ ধারনার নায়ক আবুজাফর রিপন মূল নেতৃত্বে থাকবে। সারাদেশে দ্রুতই বাল্যবিয়ের বিলুপ্ত ঘটবে।
বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধিমুক্ত সমাজ গঠনে তৃণমূলের প্রতিটি পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। সেইসঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাল্যবিয়ে মুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ব্রিগেডের উদ্ভাবক ইউএনও আবু জাফর রিপন। বাল্য বিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ব্রিগেডের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ব্রিগেড লিডার মাহবুবা আলম তৃপ্তি। এসময় ময়মনসিংহ জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কাজী, শিক্ষক ও ১৮টি ব্রিগেড টিমের ১শ’ ৮৬ জন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ওএইচ