‘গরিববান্ধব’ আসিফ বৈষম্যের উর্ধ্বে পরিচালনা করতে চান ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড!
প্রকাশিতঃ 9:08 pm | January 15, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
রাজধানীর চাঁদ উদ্যানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুপুরের আহার শেষ করেই ছুটলেন স্থানীয় আজিম গার্মেন্টেসে। এবারের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন খেটে খাওয়া গার্মেন্টস কর্মীরা।
ফলে তাদের দূয়ারে নিজেকে সমর্পণ করলেন এই ওয়ার্ডটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফ আহমেদ।
তাদের দিয়েছেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা ও বৈষম্যের উর্ধ্বে উঠে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড পরিচালনার প্রতিশ্রুতি।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে প্রতিদিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যা, দু:খ-দুর্দশা দেখবো এবং শুনবো। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করবো।
ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রেখে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। কিন্তু তিনটি বিষয়ে কোন আপোস করবো না।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই চলছে। কথা দিচ্ছি, আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
আসিফ আহমেদ বলেন, ভোট দূয়ারে কড়া নাড়ছে। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি প্রতিটি ভোটারের কাছাকাছি যাওয়ার। তাদের আবেগ-অনুভূতির স্পন্দন অনুভব করার। নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতা ও ভালোবাসা দিয়ে তাদের (ওয়ার্ডবাসীর) মন জয় করার চেষ্টা করবো।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেলে রাজধানীর চাঁদ উদ্যান, সাত মসজিদ হাউজিংসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মতবিনিময় সভা ও জনসংযোগকালে এসব কথা বলেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা আসিফ আহমেদ।
ইতোমধ্যেই ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ঘিরে নিজের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছেন আসিফ আহমেদ। আগামী ৩০ জানুয়ারির ভোটে তিনি এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে প্রথমেই ওয়ার্ডটিকে ‘নো ড্রাগস’ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ার অঙ্গীকার করেছেন উদ্যমী এই রাজনীতিক।

আসিফ ভোটে নিজের ঘুড়ি প্রতীককে ‘শান্তি’ এবং ‘কল্যাণের’ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ার্ডবাসীর প্রতি।
তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এলাকায় উন্নত সুয়্যারেজ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা দূর, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ তৈরি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে হার্ডলাইন গ্রহণ করবো।
ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ড হবে আদর্শ একটি ওয়ার্ড, এমনটি উল্লেখ করে আসিফ বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়ার্ডবাসীকে কাউন্সিলরের পেছনে পেছনে ছুটতে হবে না। কাউন্সিলর হলে আমিই আপনাদের সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করবো।
তিনি বলেন, ‘আমার সেই মন-মানসিকতা রয়েছে। আমার বাবা-চাচাদের আপনারা চিনেন। তাঁরা সব সময় আপনাদের পাশে ছিলেন। তাদের সন্তান হিসেবে আমিও সব সময় আপনাদের পাশে থাকার ওয়াদা করছি।’
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরতিহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবর্তনের অঙ্গীকার করা প্রতিশ্রুতিশীল কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফ আহমেদ। অমায়িক ভদ্র, বিনয়ী আচরণ তাঁর সমস্ত দিনের কর্মব্যস্ততার প্রতিফলন।

‘গরিববান্ধব কাউন্সিলর আসিফ’
স্পট রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এখানকার প্রতিটি দোকানেই চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা। সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন মুদি দোকানি থেকে শুরু করে ফল ব্যবসায়ীরাও। তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটের দিনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিষয়টি।
জাহাঙ্গীর আকন্দ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী যেন এই ভোটের আলাপের ‘মধ্যমণি’। কালের আলো’র এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপ গড়াতেই বলতে থাকলেন এভাবে- ‘সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করার গ্যারান্টি চাই। অতীতের মতো আর চাঁদাবাজি, গন্ডগোল চাই না। এমন প্রার্থী কী এবারের ভোটের মাঠে আছে?’
জাহাঙ্গীরের প্রশ্নকে সমর্থন করে স্থানীয় সিএনজি চালক হায়দার বললেন, ‘গরিববান্ধব একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে পছন্দ হয়েছে আমাদের। তাঁর কথাবার্তা, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে।’
রহস্যের বাতাবরণে প্রবেশ করতেই বুক পকেট থেকে ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফ আহমেদের লিফলেট বের করে বললেন, ‘এই প্রার্থীই আমাদের মতো গরিবের জন্য কিছু করতে পারবে।
সিএনজি আর ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধে তাঁর অঙ্গীকারের দৃঢ়তা আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। এলাকার জন্য তিনি কাজ করতে পারবেন বলেই আমরা তাকেই চাই। অন্য কারও খাওন নাই।’

কালের আলো/সিএইচ/আরআর