আ’লীগের ভারত সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই : কাদের

প্রকাশিতঃ 11:52 pm | April 21, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । তার দাবি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত এবং দেশটির সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ থাকবেনা, যা আগেও কখনও ছিল না।

শনিবার (২১এপ্রিল) বিকেলে আ’লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের আসন্ন ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রোববার ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির ভারত যাওয়ার কথা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সকাল ১০ টায় আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও আলোচনা হবে। এই সফরটি খুব সংক্ষিপ্ত তবে গুরুত্ববহ। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ।

তারপর বাংলাদেশ হাই কমিশনের আয়োজনে নৈশভোজে অংশগ্রহণ। তার পরের দিন ২৩ তারিখ আমাদের খুব ব্যস্ততা থাকবে। ওইদিন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি’র সঙ্গে আলোচনা হবে। আর ২৪ তারিখ আমরা ভারত ত্যাগ করব।

ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের এই সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। এই সফরে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে। এটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখানে অন্য কোন কারন খোজার তো কোন যৌক্তিকতা নেই। সফরের পর ইন্ডিকেশন কি তা বোঝা যায়। যদিও এটা বড় ডেলিগেশন। এই সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন। ক’দিন আগেও তো আমাদের ২০ সদস্যের বেশী প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে কি তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন। ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক ৭১ সাল থেকে। রক্তের রাখিবন্ধন।

একটা দেশের সাথে অন্য দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়েরই স্বার্থ থাকে। এক্ষেত্রেও তাই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ভারতের সাথে আমাদের সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সাথে যুদ্ধ করে তো সমাধান হবে না। আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে। ৭৪’র ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তিও কিন্তু শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারনে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট তারপরও আমাদের সবধরনের চেষ্টা থাকবে। কথা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারন পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব আছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি তাও বাম রাজনীতি করে এসেছেন। আল্লাহ্ খোদার ভয় নেই। আমি এখন এই রুম থেকে অন্য রুমে যাবার পর জীবিত থাকবো কিনা সেটাই তো জানি না। আল্লাহ্ জনেন হায়াৎ মরনের বিষয়টা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবুল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ।

 

কালের আলো/এমএ/এসআর

Print Friendly, PDF & Email