ময়মনসিংহে হত্যা মামলার আসামি ও টেকনাফে দুই মাদককারবারি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
প্রকাশিতঃ 9:55 am | August 22, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ও দুই রোহিঙ্গা মাদককারবারি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক অটোরিকশা চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. এখলাছ উদ্দিন (৩০) নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ডিবি’র উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন ও কনস্টেবল ইলিয়াস মিয়া আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ১২ বোর রিভলবার, এক রাউন্ড গুলি ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
তিনি জানান, পাগলা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় একটি অটোরিকশা চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত স্থানীয় চাকুয়া এলাকায় অবস্থান করছে।
এরপর ডিবি’র টিম তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে ডাকাত দল ও মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাত দল ও মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থলে চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী মো. এখলাছ উদ্দিনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, নিহত এখলাছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ডাকাতরা গত ২৭ জুলাই রাতে একজন অটোচালককে নির্মমভাবে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি, ২টি মাদক ও ১টি হত্যা মামলাসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় বিজিবির সদস্যদের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া এলাকায় বুধবার (২১ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে নৌকা দিয়ে নাফ নদী পার হওয়ার সময় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোঃ সাকের (২২) ও টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত মোঃ আলীর ছেলে নুর আলী (৩০)।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া এলাকার নৌকায় করে ইয়াবা নিয়া নাফ নদী পার হওয়ার সময় বিজিবির সদস্যরা থামানোর সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে।
পরে বিজিরি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গুলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজন ইয়াবা পাচারকারীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
গুলাগুলিতে বিজিবির দুইজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশিয় তৈরি বন্দুক, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি দারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
কালের আলো/এনআর/এনএল