দুই সুসংবাদ দিলেন ডিএনসিসি’র মেয়র আতিক

প্রকাশিতঃ 6:56 pm | August 13, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ঈদুল আজহার কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকাকে বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে এমন সুসংবাদের পর মশানাশক ওষুধ ছিটানোর জন্য নতুন ফগার লার্ভিসাইড মেশিন আনার কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত নগরপিতা আতিকুল ইসলাম, ছুটলেন হাসপাতালে

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বর্জ্য অপসারণ অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দুই সুসংবাদ দেন। একই সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফেরত আসা নাগরিকদের ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন ও সাবধান থাকার আহ্বান জানান মেয়র।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: পরিবারের বাইরেও মেয়র আতিকের ‘পরিবার’

বর্জ্য অপসারণে কথা রেখেছেন
২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের অঙ্গীকার করেছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করেছেন উত্তরের এ নগর পিতা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য সিটি করপোরেশন অপসারণ করে। ৪৩৮টি যানবাহন দুই হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে এ পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করে।

তবে এ হিসেবের মধ্যে নেওয়া হয়নি বিভিন্ন হাটের বর্জ্য। হাটের তুলনায় পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রাধান্য দেওয়াতে বেশকিছু হাটের বর্জ্য এখনও বাকি রয়ে গেছে। তবে সেগুলোও দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে দাবি করা হয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার আড়াই লাখেরও বেশি পশু কোরবানি হয়। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দুই হাজার ৪০০ কর্মীসহ নয় হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োজিত ছিল। সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৭, ১১, ৩, ৩১ ও ১৭ (আগে পরিষ্কারের ভিত্তিতে) ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। আর মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সব অঞ্চল তাদের এলাকা কোরবানির পশুর বর্জ্য শূন্য বলে আমাদের অবহিত করে। বর্জ্য অপসারণ করা প্রথম তিনটি ওয়ার্ডকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।

অন্যদিকে এবার সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার আগের থেকে বেশি হয়েছে দাবি করেন আতিক। তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে আগের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিয়েছে।

৫০০ ফগিং মেশিন এবং ১৪০টি লার্ভিসাইড মেশিন
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য নতুন মেশিন আনছি আমরা। এরই মধ্যে আগামী ১৭ আগস্ট ২০০ টি ফগার মেশিন আসছে। আর ১০ সেপ্টেম্বর আসছে আরও ৩০০ টি ফগার মেশিন। এছাড়াও মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য আমরা আনছি আরও ১৫০টি লার্ভিসাইড মেশিন।

তিনি বলেন, মশার ওষুধ ছিটানোর প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করছি আমরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত ১০টি করে ফগিং মেশিন থাকবে আমাদের। একটি করে মোটরবাইক ও গাড়ি ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। মশক কর্মীদের ইতোমধ্যে জিপিএস ট্র্যাকারের আওতায় আনা হয়েছে।

এখন আমরা তাদের আইওটি অর্থ্যাৎ ইন্টারনেট অব থিংসের আওতায় আনছি। অনেক সময়েই অভিযোগ আসে, মশার ওষুধ সঠিক পরিমাণে দেওয়া হয় না। সেই অভিযোগের বিষয়েও জানা যাবে এ যুক্তির মাধ্যমে।

কালের আলো/এমএইচ/এমএএএমকে