ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিতঃ 5:40 pm | July 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতিবিরোধী সরকারি সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে গত মাসের শুরুতে অভিযোগ করেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজান। তবে তা অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।

অভিযোগ ওঠার গত ১২ জুন বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

এসব অভিযোগ উঠার পর দুইজনই তাদের নিজেদের সংস্থা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। আর ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে অনুসন্ধান দল সাক্ষী হিসেবে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রচার করা এটিএন নিউজের সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুমনের বক্তব্য নিয়েছে দুদক। এর মধ্যে অভিযোগের মুখে থাকা দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

জানা যায়, গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথমবারের মতো ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।

গত ২৪ জুন তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরিবর্তিত অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email