সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

প্রকাশিতঃ 5:01 pm | July 14, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো: 

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার পাশাপাশি সাগরে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে গতকাল সকাল থেকেই কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার থেকে বাড়তে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এটি সারাদেশে বিস্তৃত হয়ে পুরো সপ্তাহেই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে সমকালকে বলেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এর পাশাপাশি সাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশের ওপর দিয়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও উপকূলের চার সমুদ্রবন্দরের জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।

মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আরও বলেন, গতকাল পঞ্চগড়, রংপুর ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজ সোমবার এর বিস্তৃতি কমবে। আগামীকাল তাপপ্রবাহ দেশের কোথাও না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশে বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে আজ সোমবার থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে, তবে তা একটানা নয়। কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারীবর্ষণের কারণে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

এর মধ্যে ৮ জুলাই ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ফেনীতে। এ বৃষ্টি ছিল ওই অঞ্চলে চলতি বছরের সর্বোচ্চ। ভারী বৃষ্টির কারণে ফেনীতে বন্যার সৃষ্টি হয়। নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির এখন একটু উন্নতি হয়েছে। টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমে এসেছে।

কালের আলো/এসএকে